ধর্ষণ-অপহরণের কথা অস্বীকার ভুক্তভোগীর, ছাড়া পেলেন ইউপি চেয়ারম্যান

খুলনায় হাসপাতালের সামনে থেকে মাইক্রোবাসে করে অপহৃত যুবতী এবার ধর্ষণ ও অপহরণ হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। রোববার রাতে সোনাডাঙ্গা থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবতী দাবি করেছেন, তাকে ধর্ষণ বা অপহরণ করা হয়নি। কোনো অভিযোগ না থাকায় রাত ১২টায় তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে হাসপাতালের সামনে অপহরণে সহযোগিতার অভিযোগে স্থানীয়দের হাতে আটক ডুমুরিয়ার রুদাঘরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদ্জ্জুামানকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এর আগে, শনিবার রাত ১১টার দিকে যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। রোববার বিকাল সাড়ে ৫টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর বাইরে বের হলে সেখান থেকে তাকে ও তার মাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে যুবতীকে অপহরণে সহযোগিতা করার অভিযোগে রুদাঘরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদ্জ্জুামানকে অবরুদ্ধ করে স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

সোনাডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম জানান, হাসপাতাল থেকে অপহরণের অভিযোগ উঠলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে ওই যুবতী ও তার মাকে যশোরে কেশবপুরে তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাওয়া যায়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় তাদেরকে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় আনা হয়। এখানে জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবতী তাকে ধর্ষণ বা অপহরণের ঘটনা অস্বীকার করেন। একইসঙ্গে আটক গাজী তৌহিদ্জ্জুামানের বিরুদ্ধেও তাদের কোনো অভিযোগ নেই বলে জানায়। পরে তাদের সবাইকে রাত ১২টার দিকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

news24bd.tv/SHS