গোপালগঞ্জে বাবার একাধিক বিয়ের বিষয় নিয়ে শাশুড়ির মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন পলি বেগম নামে এক গৃহবধু। শুধু তাই নয়, নিজের হাতে বিষ খাওয়ান তার তিন কন্যা সন্তানকেও।
অসুস্থ অবস্থায় মঙ্গলবার(৩০ জানুয়ারী) রাত ৮টার দিকে তাদেরকে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বুধবার(৩১ জানয়ারী) সকাল ৮টার দিকে ছোট মেয়ে দেড় বছরের মীম মারা যায়।
জানা গেছে, বছর দশেক আগে কাশিয়ানী উপজেলার লংকারচর গ্রামের হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে টিটু মোল্যার সাথে একই উপজেলার খাগড়াবাড়ি গ্রামের শরিফুল শেখের মেয়ের সাথে পলি বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় শাশুড়ি সেকেলা বেগম তার পুত্রবধূ পলির বাবা শরিফুল শেখের একাধিক বিয়ে করা নিয়ে তার উপর মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
আরও পড়ুন: বাস স্ট্যান্ডে সুটকেসের ভেতরে পাওয়া সেই মরদেহের রহস্য উন্মোচন
মঙ্গলবার সকালে পলি তার শাশুড়ির উঠানে জ্বালানি (গাছের পাতা) শুকাতে দেয়। এ নিয়ে শাশুড়ি গালমন্দসহ পলির বাবার একাধিক বিয়ের (৯টি বিয়ে) বিষয় নিয়ে নানান বাজে মন্তব্য করতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে দুপুরে জমিতে ব্যবহারের জন্য বাড়িতে থাকা কীটনাশক পান করেন পলি বেগম। পরে চামচে করে একে একে তার মাদ্রাসায় পড়ুয়া ৮ বছরের মেয়ে আফসানা, আড়াই বছরের আমেনা ও দেড় বছরের মীমকে বিষপান করান।
বিষয়টি টের পেয়ে প্রথমে তাদেরকে নেয়া হয় কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক অনামিকা জাহান জানান, মা পলি বেগম ও বড় মেয়ে আফসানা শঙ্কামুক্ত হলেও খানিকটা ঝুকিতে রয়েছে ছোট দুই মেয়ে আমেনা ও মীম।
News24bd.tv/ab