সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পৌর এলাকার বেড়ীপোটল এলাকায় ঘর ভেঙে রাস্তা নির্মাণে বাঁধা দেয়ায় দুই সহোদর বয়োবৃদ্ধসহ তিনজকে মারপিট ও মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ ওঠেছে, কাজিপুর পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর মিনা খাতুন ও তার স্বামী জহুরুল ইসলামসহ তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মারপিট ও কুপিয়েছে।
মারপিটে গুরুতর আহত দুই সহোদর বৃদ্ধ আব্দুস সামাদ ও সাইফুল ইসলাম এবং আব্দুস সামাদের স্ত্রী আসমা খাতুনকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, কাজিপুর পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর বেড়ীপোটল চরপাড়া গ্রামের মিনা খাতুন ও তার স্বামী জহুরুল ইসলাম গত মঙ্গলবার দুপুরে জোরপূর্বক একই গ্রামের আব্দুস সামাদের ঘর ভেঙে তাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করে। এসময় বয়োবৃদ্ধ আব্দুস সামাদ ও তার ভাই সাইফুল ইসলাম বাধা দেয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পৌর কাউন্সিল মিনা খাতুনের স্বামী জহুরুল ইসলামসহ তাদের স্বজনরা আব্দুস সামাদ ও তার ভাই সাইফুল ইসলামকে রামদাসহ দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও মারপিট শুরু করে। দুজনকে বাঁচাতে আব্দুস সামাদের স্ত্রী এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করা হয়। পরে স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। রামদা দিয়ে কোপানোর কারণে দুই বৃদ্ধের মাথা অনেকাংশ কেটে গেছে।
আহত আব্দুস সামাদের ছেলে আসাদুজ্জামান জানান, আমাদের ঘর ভেঙে রাস্তা নির্মাণ করছিল কাউন্সিলর মিনা খাতুন ও তার স্বজনেরা। বাধা দেওয়ায় বাবা-চাচা ও মা, এই তিনজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় কাজিপুর আমলী আদালতে বৃহস্পতিবার সকালে জহুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কাউন্সিলর মিনা খাতুন এবং মেয়ে জুই খাতুনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
এবিষয়ে কাউন্সিলর মিনা খাতুনকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কাজিপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বেড়ীপোটল গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষ মারপিটের ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। দুইপক্ষের লোকজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে কাউন্সিলর গ্রুপের পক্ষে থেকে মামলা করা হয়েছে। তবে দুই বয়োবৃদ্ধের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসার কারণে তাদের পক্ষ থেকে কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি।
news24bd.tv/SHS