ঢাকাকে হারিয়ে চারে উঠে এলো বরিশাল

দুর্দান্ত ঢাকাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফের জয়ের মুখ দেখেছে ফরচুন বরিশাল। স্থানীয় একাধিক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ভিড়িয়েও বিপিএলের চলতি আসরে প্রথম ৭ ম্যাচে মাত্র ৩ জয় পায় বরিশাল। আজ অবশ্য ঢাকাকে তেমন পাত্তাই দেয়নি তামিম ইকবালের দল। হারিয়েছে ৪০ রানে। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে উঠে এসেছে বরিশাল। অপরদিকে, আসর থেকে প্রায় ছিটকেই গেছে ঢাকা।  

আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) টসে জিতে আগে ব্যাট করে সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের রেকর্ড জুটিতে ঢাকাকে ১৯০ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় বরিশাল। সেই রান তাড়ায় নেমে ২ বল আগেই ১৪৯ রানে অলআউট হয় ঢাকা।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ঢাকা উইকেট হারায় নিয়মিত বিরতিতে। ঢাকা গড়তে পারেনি বড় কোনো জুটিও। ইনিংসের শেষদিকে অ্যালেক্স রস যা খেলেছেন। তার ৫২ রানের সুবাদেই হারের ব্যবধান কমেছে ঢাকার।  

বড় রান তাড়ায় নেমে দলীয় ৬ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ঢাকা। ৫ রান করে ফিরে যান সাব্বির হোসেন। এখন পর্যন্ত এ আসরে সর্বোচ্চ রান করা নাঈম হাসানও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১০ রান করেই থামতে হয় তাকে। আগের ম্যাচে ফিফটি করা সাইফ হাসানও ব্যর্থ এদিন। ১০ রানে তিনি উইকেট দেন সাইফউদ্দিন।  

পুরো ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিং করা সাইফউদ্দিন এরপর উইকেট নেন আরও দুটি। ফেরান তাহজিবুল ইসলাম (৭) ও রসকে। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও ওবেদ ম্যাককয়। মিরাজের দুই শিকার এসএম মেহরব (২৮) এবং শরীফুল ইসলাম (৭)। ম্যাককয় ফেরান ওপেনার নাঈম আর তাসকিন আহমেদকে (১২)।

আকিফ জাদেব খরুচে হলেও সাব্বিরকে ফিরিয়ে তিনিই বরিশালকে এনে দেন প্রথম ব্রেকথ্রু। এছাড়া রানআউটে কাটা পড়েন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা (৪) ও লাহিরু সামারাকুন (০)। সামারাকুনকে রানআউট করার আগে বল হাতে এক ওভার মেইডেনও দেন সৌম্য। তাতে তিনি পেয়ে যান ম্যাচসেরার পুরস্কার।  

এর আগে, টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামা বরিশাল সৌম্যর ৭৫ এবং মাহমুদউল্লাহর ৭৪ রানের ওপর দাঁড়িয়ে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৮৯ রান তোলে। এবারের আসরে বরিশালের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এটি।

বরিশালের এই সংগ্রহের পুরো কৃতিত্বই মাহমুদউল্লাহ-সৌম্য জুটির। দল যখন বিপদে তখন উইকেট বাঁচানোর পাশাপাশি রানের চাকাও সচল রাখেন তারা। গড়েন ১৩৯ রানের অবিশ্বাস্য এক জুটি, যা এই আসরে এখন পর্যন্ত যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ। সৌম্য শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৭৫ রান করে। ইনিংসটি তিনি সাজান ৪ চার আর ৬ ছক্কায়।  

মাহমুদউল্লাহ শরীফুলের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে করেন ৪৭ বলে ৭৩ রান। ৭ চার আর ৩ ছক্কায় দারুণ ইনিংসটি সাজান এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।

মাহমুদউল্লাহর আগে তামিম ইকবালকে ব্যক্তিগত ৪ রানে ফিরিয়ে দিয়ে ঢাকাকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন শরীফুল। এরপর শেহজাদকে ১০ এবং মুশফিককে ১ রানে ফিরিয়ে দিয়ে ঢাকাকে স্বপ্নের শুরু এনে দেন তাদের অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই পথ ধরে আর হেঁটে চলা হয়নি ঢাকার।

news24bd.tv/SHS