টানা ১১ হারে বিপিএল শেষ করলো ঢাকা 

আরও একটি লজ্জা নিয়েই চলতি বিপিএল শেষ করলো দুর্দান্ত ঢাকা। নিজেদের শেষ ম্যাচেও হেরেছে দলটি। অর্থাৎ, টানা ১১ হার নিয়ে সবার আগে এবারের বিপিএল শেষ করলো তাসকিন আহমেদের দল। এর আগে অন্য কোনো দল বিপিএলে টানা এতো ম্যাচ হারেনি।  

আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সান্ত্বনার জয়ে আসর শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মোকাবিলা করতে নামে ঢাকা। তবে শেষ ম্যাচেও ১০ রানে হেরেছে তারা। এদিকে, এ জয়ে প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা আবারও উজ্জ্বল করলো চট্টগ্রাম।

রান তাড়ায় নেমে ঢাকার শুরুটা আজও হয় যথারীতি বাজে। ১ রান করে অ্যাডাম রোসিংটন ফিরে যাওয়ার পর খালি হাতে ফেরেন সাব্বির হোসেন। এরপর নাঈম শেখ ও অ্যালেক্স রস ৫১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ কাটান।  

নাঈম টেস্টসুলভ ইনিংস খেলে ফেরেন ২৯ রান করে। কিছুক্ষণ পর একই পথ ধরেন সন উইলিয়ামস (৯)। রস ফিফটি তুলে নেওয়ার পর ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি। ৫৫ রানে বাজে তার বিদায়ঘণ্টা। শেষে মোসাদ্দেক মারমুখী ইনিংসে ঢাকাকে একটা সম্ভাবনা দেখালেও, জয় আর পাওয়া হয়নি দলটির। মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ২৯ রান করে। ইরফান শুক্কুরের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান।  

চট্টগ্রামের হয়ে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন শুভাগত হোম। একটি করে উইকেট পেয়েছেন বিলাল খান, সালাউদ্দিন শাকিল ও শহীদুল ইসলাম।

এর আগে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম। শুরুতে ২ উইকেট হারিয়ে বসলেও জমে যায় তানজিদ-ব্রুসের জুটি। তাতেই চ্যালেঞ্জিং স্কোরের ভিত পায় চট্টগ্রাম। ইনিংসের প্রথম বলেই সৈকত আলীর উইকেট তুলে নেন মোসাদ্দেক হোসেন। এরপর দলীয় ২৪ রানে জস ব্রাউনের উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। এরপর ৯৫ রানের বড় জুটি গড়েন তানজিদ-ব্রুস।

ব্যক্তিগত ৪৮ রানে ব্রুস ফিরলে ভাঙে এ জুটি। তবে ঠিকই ফিফটি তুলে নিয়েছেন তানজিদ। থামার আগে ৫১ বলে ৭০ রান আসে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে।  

এ জুটির পর বাকিরাও তেমন সুবিধা করতে পারেনি। রোমারিও শেফার্ড ৩, শুভাগত হোম ৯ রানে আউট হন। ৬ রানে অপরাজিত থাকেন সাহাদাত হোসেন দীপু।

চলতি আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি শরীফুল ইসলাম এদিনও মাত্র ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। তাসকিন ২ উইকেট পেতে খরচ করেছেন ৩৮ রান।

news24bd.tv/SHS