হাইতিতে চলছে সরকারবিরোধী আন্দোলন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের জন্য হচ্ছে পরিকল্পিত দলগত সহিংসতা। এই সংঘাতের মধ্যেই রাজধানী শহর পোর্ট ও প্রিন্সের প্রধান কারাগারে এক গ্যাং হামলায় কারাগার থেকে হাজার হাজার বন্দী পালিয়ে গেছে। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, শনিবার রাতে বারবিকিউ নামে পরিচিত সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা জিমি চেরিজিয়ারের নেতৃত্বে দুটি দল দেশটির রাজধানী কারাগারে হামলা চালায়।
প্রতিবেদনে ন্যাশনাল নেটওয়ার্ক ফর ডিফেন্স অব হিউম্যান রাইটসের পিয়েরে এসপেরেন্সের বরাতে বলা হয়, হামলার পর ন্যাশনাল পেনিটেনশিয়ারির আনুমানিক ৩ হাজার ৮০০ বন্দীর মধ্যে মাত্র ১০০ জন ভেতরে আছেন। বন্দীর লাশ গণনা করছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার কারাগারটি পরিদর্শনে যাওয়া এএফপির এক সাংবাদিক জানান, তারা কারাগারের বাইরে প্রায় এক ডজন মৃতদেহ দেখেছেন। গেটটি খোলা ছিল এবং ভেতরে ‘প্রায় কেউই’ অবশিষ্ট ছিল না বলে জানিয়েছে তারা।
হাইতি সরকার বলেছে, পুলিশ এই কারাগারসহ ক্রোইক্স ডেস বুকেটস নামে আরেকটি কারাগারে গ্যাং আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। দ্বিতীয় কারাগার থেকে কতজন বন্দী পালিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সেখানে ১৪৫০ জন বন্দী ছিল।
news24bd.tv/FA