বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর সব নির্যাতিত- নিপীড়িত মানুষের সম্পদ: ঢাবি উপাচার্য

বঙ্গবন্ধু পৃথিবীর সব নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের সম্পদ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ‘মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

উপাচার্য বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম ছিল- জনগণের প্রতি তাঁর অপরিসীম ভালোবাসা ও গভীর আস্থা। তেমনি বঙ্গবন্ধু’র নেতৃত্বের প্রতি জনগণেরও ছিল অকৃত্রিম আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা। শৈশব ও কৈশর থেকেই তাঁর মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী পরিলক্ষিত ও বিকশিত হয়। বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই একটি নতুন ইতিহাস, আর এই ইতিহাসই আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু জন্মগতভাবেই মহান ছিলেন। মানুষের মঙ্গল ও মুক্তির জন্য তিনি যা বিশ্বাস করতেন, তা তিনি বলতেন ও করতেন। এ জন্য তিনি কখনো পরাজিত হননি। সাহস নিয়ে সকল প্রতিকূলতা ও অপশক্তি মোকাবিলা করে সবসময় এগিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের ওপর গভীর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বস্তরের জনতা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ও আত্মহুতি দিয়েছিল। ’

ড. মাকসুদ কামাল বলেন, ‘দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, সততার সাথে বলিষ্ঠ আন্দোলন, সংগ্রাম ও অপরিসীম ত্যাগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু মহত্ব অর্জন করেছেন। তাই বঙ্গবন্ধু’র নেতৃত্ব কালোত্তীর্ণ ও কালজয়ী এবং তিনি পৃথিবীর সকল নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের সম্পদ। ’

স্বাধীনতা অর্জনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনঃর্গঠনে ও দেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু’র দূরদর্শী বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে উপাচার্য আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তিনি যে দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, তা অনুসরণ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তিসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, আদর্শ ও দর্শন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। ’ বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনিমার্ণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের ধারা আরও এগিয়ে নিতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান তিনি।

নানা আয়োজনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ উপলক্ষ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে উপাচার্যের নেতৃত্বে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। news24bd.tv/আইএএম