৪ মাস বেতন-ভাতা নেই, ঈদের আগে অনিশ্চয়তায় রূপগঞ্জের পোশাক শ্রমিকরা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা প্রায় ২ ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উপজেলার তারাব পৈারসভার বরপা এলাকার এসিএস টেক্সটাইলের শ্রমিকেরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা জানান, বরপা এলাকার এসিএস টেক্সটাইল কারখানাটি একটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত শ্রমিকদের বেতন-বকেয়া রয়েছে। মালিক গত কয়েকদিন ধরেই শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা করে আসছে। গত মার্চ মাসে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের কথা দেন ঈদের আগে তাদের বকেয়া বেতন বোনাসসহ সব কিছু পরিশোধ করে দেওয়া হবে।

তবে বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার কথা থাকলেও শ্রমিকেরা কারখানা গিয়ে জানতে পারেন, তাদের বেতন-বোনাস ঈদের পর পরিশোধ করা হবে। পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে থাকে।

খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পাঞ্চল পুলিশ ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে লাঠিচার্জ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় শ্রমিকরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এসময় নারায়ণগঞ্জ পুলিশের এডিশনাল এএসপিসহ ১২ জন শ্রমিক আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

শ্রমিকেরা অভিযোগ করে বলেন, মালিকপক্ষ আমাদের বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও আমাদের বেতন পরিশোধ করেনি। বেতন না পাওয়ায় আমরা বাড়ি ভাড়া দিতে পারছি না, মুদি দোকানের টাকা পরিশোধ করতে না পারায়, তারাও বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা পরিবার নিয়ে কীভাবে ঈদ করবো, আল্লাহ ভালো জানে। বেতন না পেলে আমাদের ঈদ অনিশ্চিত। আমাদের বেতন পরিশোধের জন্য আমরা প্রশাসন ও সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জুবায়ের হোসেন বলেন, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের এডিশনাল এএসপি তরিকুল ইসলাম মাথায় আঘাত পেয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

news24bd.tv/SHS