ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের সতর্কতা জারি

বান্দরবানের দুই উপজেলায় পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশন্যাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংক ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্থাপনা ঘিরে হামলার ঘটনার পর সারা দেশে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি স্থাপনাগুলোতেও পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি বসানো ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে জেলা পুলিশকে। তা ছাড়া মোবাইল টিম বাড়িয়ে দিনে-রাতে টহল জোরদার করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে।

 তিনি বলেন, ঈদের আগে ও পরে ছুটির সময় প্রতিটি জেলায় চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইসহ অপরাধ মোকাবিলায় বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সড়কে যাতে কোনো ধরনের ডাকাতি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সারা দেশে পুলিশের ছুটি বাতিল করে ঈদকে নিরাপদ রাখতে মাঠপর্যায়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গণমাধ্যম) ইনামুল হক সাগর বলেন, রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে পুলিশের পক্ষ থেকে চুরি-ডাকাতি রোধে সবসময় বিশেষ সতর্কতা জারি থাকে। এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং বিপনি-বিতানগুলোতে টহল পুলিশ থাকে। তবে সম্প্রতি বান্দরবানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সদর দপ্তর থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি টহল বাড়ানো হয়েছে। ঝুঁকি বিবেচনায় তল্লাশি চৌকি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, বান্দরবানের ঘটনাটি ছাড়া সারাদেশে বেশ কয়েকটি স্থানে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতের কবলে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার পাশপাশি ঘটছে প্রাণহানিও। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি স্থাপনায় ডাকাতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে না পারে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সহায়তা নিতে বলা হয়েছে।   news24bd.tv/aa