মুন্সিগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংর্ঘষে গুলিবিদ্ধ হয়ে পারভেজ (২০) নামের এস যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে আজ সকাল ৭ টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে এই সংর্ঘষ। এ সময় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রণক্ষেত্র পরিণত হয় সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসকান্দি ও ছোট মোল্লাকান্দি গ্রাম।

আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ রাব্বি (১৯) ও পারভেজ (২০) কে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে মাঝপথেই মারা যায় গুলিবিদ্ধ পারভেজ (২০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরকেওয়ার ইউনিয়নের খানকান্দি ও ছোট মোল্লা কান্দি গ্রামের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মামুন হালদার-নজির হালদার গ্রুপের সাথে  আহমদ গ্রুপের মধ্যে দির্ঘদিন যাবত বিরোধী চলে আসছিলো। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে এর আগেও কয়েক দফা সংর্ঘষের লিপ্ত হয় গ্রুপ দুটি। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার গভীর রাত থেকে আবারও বিবাদে জড়ায় দুই গ্রুপের সর্মথকরা। এতে বাঁধে সংর্ঘষ। মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণে রণক্ষেত্র পরিণত হয় গ্রাম দুটি। বর্তমানে গ্রাম দুটিতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

এ ব্যাপারে গুলিবিদ্ধ গ্রুপের আহমদ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাতে মামুন হালদারের ভাই সেলিম হালদার গ্রুপের লোকজন আমার কর্মী-সর্মথকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে পারভেজ ও রাব্বিকে গুলি করে। সেই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পারভেজ মারা যায়। এছাড়াও ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় আমার কর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তাদের উপর গুলি ছোড়ে। এই ঘটনায় আমার এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায় এবং অপর এক কর্মীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

news24bd.tv/SC