ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায় ইউরোপের তিন দেশ

ফিলিস্তিনকে ইউরোপের তিন দেশ স্বীকৃতি দিতে চায় । দেশগুলো হচ্ছে,  আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্পেন । শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলোতে এক বৈঠকে বসেছিলেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমোন হ্যারিস এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোর। সেখানে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন আদায়ের জন্য সম্প্রতি কূটনৈতিক প্রচার শুরু করেছেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। তিনি এ সফরে আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভেনিয়া ও বেলজিয়াম সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এরই ধারাবহিকতায় শুক্রবার অসলোতে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোরের সঙ্গে  আলোচনা করেন পেদ্রো সানচেজ। বৈঠক শেষে সানচেজ জানিয়েছেন, ইইউর সদস্য দেশগুলো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে তাদের মধ্যে ‘স্পষ্ট ইঙ্গিত’ রয়েছে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া উচিত ইউরোপের ‘ভূরাজনৈতিক স্বার্থ’ রক্ষার জন্যই। তবে এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে স্বীকৃতি না দিলে কাজটি খুব সহজে হবে না বলেও জানান তিনি। স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর আইরিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড শিগগিরই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে চায়। তবে স্পেন এবং আরও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নেবে তারা। শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে আয়ার‌ল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমোন হ্যারিস বলেন, ‘ফিলিস্তিনের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের জন্য একটি রাষ্ট্র এবং সার্বভৌমত্বের দাবি জানিয়ে আসছেন। বিশ্বের প্রতিটি স্বাধীন জাতি যে সম্মান-মর্যাদা ভোগ করছে, ফিলিস্তিনের জনগণের জন্যও তা প্রাপ্য। আমরা আজকের বৈঠকে ফিলিস্তিনকে (স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে) স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছি এবং এ ইস্যুতে সম্মিলিতভাবে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ’ আর স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোর বলেছেন, তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত, তবে এই মুহূর্তে এক্ষেত্রে তারা কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করতে চান না।   প্রসঙ্গত,গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত প্রায় ৭ মাসের অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৩ হাজারেরও বেশি মানুষ, আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭৫ হাজার জন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

news24bd.tv/ডিডি