৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্বর্ণপদক প্রদান এবং জেলার ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে আজ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলে যান। স্বর্ণপদক প্রদানের পর তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

এ সময় ছোটবেলার স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘৫৬ বা ৫৭ সালে আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মাসহ সবাই এখানে এসেছিলেন। এই স্কুলটা, হাসপাতাল সব ঘুরে ঘুরে দেখেছেন তারা। মনে আছে এই জায়গা এতো সুন্দর দেখে বাবা বলেছিলেন আমাকে এই কুমুদিনী স্কুলে ভর্তি করে দেবেন। এরপর ৫৮ সালে মার্শাল ল হয়।

 আমার বাবাকে জেলে নিয়ে যায়। আমাদের পড়াশোনা এমনিতেই বন্ধ। পরে আর আসা হয়নি। তবে দেশে ফেরার পর ৮১ সালে আমি অনেকবারই এসেছি।

দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি এক হাতে অর্থ উপার্জন করতেন, আরেক হাতে তা বিলিয়ে দিতেন। মেয়েদের শিক্ষায়, চিকিৎসায় তিনি অর্থদান করেছেন। মানুষকে মানুষের মতো বেঁচে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। কুমুদিনী ট্রাস্টের মাধ্যমে অনেক কাজ করা হচ্ছে। জনগণের সেবায় সবসময় আমাদের সহযোগিতা থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তর সালে ৭ মে হানাদাররা নারায়ণগঞ্জের কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট থেকে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার একমাত্র পুত্র ভবানী প্রসাদ সাহাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে। তাদের পরিবার আর কখনোই তাদের ফিরে পায়নি। স্বজন হারানোর বেদনা যে কত কঠিন, কত যন্ত্রণাদায়ক সেটা আমরা বুঝতে পারি।

তিনি বলেন, মানুষের সেবা, নারী শিক্ষার প্রসারে রণদা প্রসাদ যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, সমাজের বিত্তশালীরা যেন এভাবেই মানবতার সেবায় এগিয়ে আসেন।  

তিনি আরও বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা নিয়েই আমার যাত্রা শুরু। জনগণের ভালোবাসা নিয়েই কাজ করেছি। বাংলাদেশকে এখন বিশ্ব উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে দেখে। আমরা আরও অনেকদূর এগিয়ে যেতে চাই।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)