ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

মেয়র ও কাউন্সিলর পদে ৩৩৫ জনের মনোনয়ন জমা

প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে সোমবার উৎসবমুখর পরিবেশে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ইকরামুল হক টিটু এবং জাতীয় পার্টি থেকে জাহাঙ্গীর আহমেদসহ পাঁচ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এসময় দুই প্রার্থীর সাথেই স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  

অপরদিকে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৩ ওয়ার্ডের বিপরীতে ৭১ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জমা দিয়েছেন- জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মূসা সরকার, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য স্বপন মন্ডল ও নির্দলীয় ড. বিশ্বজিৎ ভাদুরী।

ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘৫ই মে নির্বাচনে ১২৭টি কেন্দ্রেই ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে। অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকব। ’

বেলা ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামানের কাছে মনোনয়ন জমা দলীয় মনোনয়ন জমা দেন।

এসময় সঙ্গে ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক খোকা, সহসভাপতি আমিনুল হক শামীম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলসহ অনেকেই।

মনোনয়ন জমা শেষে সাংবাদিকদের নৌকার প্রার্থী টিটু বলেন, বিগত ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আবারো সিটি করপোরেশনের টিকিট দিয়েছেন। জনগণের ভোটের রায়ে আমি মেয়র হতে পারলে এই নগরীকে মডেল নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। ইনশাআল্লাহ এই নগরীর ভোটাররা নৌকাকে জয়যুক্ত করবেন।

অপরদিকে মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি জাহাঙ্গীর আহমেদকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দিলেও দুপুরের পর আরো দুই প্রার্থী দলের বিদ্রোহী হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

এরা হচ্ছেন- জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মূসা সরকার ও জেলা কমিটির সদস্য স্বপন মন্ডল। মনোনয়ন জমা দেবার সময় তারাও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন নেতা-কর্মী নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেন।  

তবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ যদি প্রার্থী হয় তাহলে জনসাধারণের মধ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না জানিয়ে জাহাঙ্গীর আহমেদ জানান, দল আমার উপর আস্থা রেখে মনোনয়ন দিয়েছে। আমি নির্বাচিত হতে পারলে জলাবদ্ধতা, সড়কের উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। আর সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স থাকবে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী মূসা সরকার বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। কিন্তু যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারে। আমিও হয়েছি। আমি জাতীয় পার্টির তৃণমূল থেকে জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তেই প্রার্থী হয়েছি।

জেলা রিটার্নিং কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল প্রার্থীতা যাচাই-বাছাই এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ই এপ্রিল। আগের ২১টি ও বর্তমানে আরো ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত দেশের দ্বাদশ এই সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটর ২ লাখ ৯৬ হাজার ৯৩৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৫৫ ও নারী ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৮০।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/নোমান/তৌহিদ)