স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ

নেত্রকোনায় স্বামীকে রুমে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ভোর রাতে সদর উপজেলার চল্লিশা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

এর আগে শনিবার রাতে নির্যাতিতা নারী ও তার স্বামী ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করে। পরে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

আটকরা হলেন- সাইদুল ইসলাম(৩০), জামান বাশার(২৭), রেজাউল করিম পাভেল(২৮) ও হোটেল ম‍্যানেজার মাহফুজুল ইসলাম মামুনসহ আরো দুজন।  

অভিযোগে জানা গেছে, গত শুক্রবার ওই তরুণী ও তার স্বামী ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার সিডস্টোর থেকে স্বামীর ফুফুর বাড়ি কলমাকান্দার উদ্দেশ্যে বাসে উঠে এবং ময়মনসিংহ বাসস্ট্যান্ডে নামে। সেখান থেকে নেত্রকোনার বাসে উঠেন তারা। তাদের বাসটি চল্লিশা বাজারে আসলে তরুণী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চল্লিশা রাজেন্দ্রপুরস্থা বিসিক শিল্প নগরীর সামনে নামে। সেখানে সারিন্দা ফাস্ট ফুডের পেছনে টয়লেট ব্যবহার করতে যান। এ সময় আসামিদের কয়েকজন টয়লেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে এবং তার স্বামীকে বাইরে আটকে রাখে।

এরপর তারা তরুণীকে বিভিন্ন যৌন নিপীড়ক কথাবার্তা বলে এবং কু-প্রস্তাব দেয়। তাদের মধ্যে একজন ওই তরুণীকে টয়লেটের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তারা তরুণীকে সারিন্দা ফাস্ট ফুডের ম্যানেজার মাহফুজুল ইসলাম মামুনের রুমে নিয়ে যায়। ম্যানেজার মামুনের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ নামধারী এনামুল হক সম্রাট (২৭), জিহান (২৭), রাসেল (৩০), জামান বাশার (২৭), রেজাউল করিম পাভেল (২৮), সাইদুল ইসলাম (৩০), ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।

পরে ওই তরুণী ও তার স্বামীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে কাউকে কিছু না বলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়।

পরে রাত আনুমানিক দুইটার দিকে ভিকটিম ও তার স্বামী থানায় গিয়ে ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করে। পুলিশ ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান শুরু করে। ভোর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে হোটেল ম্যানেজারসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)