যশোরের মনিরামপুরে ধর্ষণের শিকার ১১ বছরের সেই স্কুলছাত্রী একটি ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে পরিবারের লোকেরা তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই স্কুলছাত্রী শনিবার দুপুরে অস্ত্রপচারের পর একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেয়।
যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, অপারেশনের পর সন্তান জন্ম দেওয়ার পর কিশোরীর ও তার জন্ম দেওয়া সন্তানের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় অভাবের তাড়নায় মনিরামপুর সদরের একটি বাসায় কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ করত। পাশাপাশি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো। একই বাসাতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন মনিরামপুর পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের সহকারি কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া। ওই বাসায় কাজের মেয়ের সুবাদে কিবরিয়া তাকে বিভিন্ন সময় নানা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। কয়েকদিন ধরে স্কুলছাত্রীর পেটে ব্যথার কথা জানায় তার নানীকে। পেটে টিউমার হয়েছে ভেবে কিশোরীর পরিবার যশোর শহরের একটি ক্লিনিকে পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারে কিশোরীর চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে মনিরামপুর থানায় কিবরিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ তাকে আটক করে।
এদিকে অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়া যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/রিপন/তৌহিদ)