রংপুর সিটির ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোটগণনা। প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন প্রার্থীরা। সবার মুখে একটাই কথা— কে জিতবেন রংপুর সিটিতে? এই সিটির দ্বিতীয় নির্বাচনে সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুই কি থাকবেন মেয়রের চেয়ারে; নাকি সেই ধারায় ছেদ টেনে নগর ভবনে যাবেন অন্য কেউ।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে বিএনপি তাদের এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছে। তবে নির্বাচন কমিশন বলছে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।   বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সারাদিনে বড় কোন বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।

গত নির্বাচনে ঝন্টুর কাছে পরাজিত হওয়া মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এবার লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এরশাদের ‘ইমেজ’ কাজে লাগিয়ে মুখ বদলের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে সরকারের জাঁতাকল থেকে ‘মুক্তির স্বপ্ন’ দেখিয়ে ভোট চেয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা।

সিটির ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৮৯৪ জন ভোটারের ভোটে সেই কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও  আলোচনায় রয়েছেন তিনজন। এদিন ভোটে নারী ভোটারের আধিক্য দেখা গেছে। সেক্ষেত্রে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন নারী ভোটার এবারের নির্বাচনে একটি বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এদিকে নির্বাচনে সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোস প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। সিইসি বলেন, নির্বাচনে কোনো বিচ্যুতির অভিযোগ নেই। এ নিয়ে ভোটাররাও বেশ খুশি। রংপুরের একটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের ইভিএম ব্যবহার সম্ভব হবে না।