‘পাহাড়ে শান্তি ফিরবে একশন প্লানে’

একশন প্লানের মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনা হবে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তি চুক্তি করে এ পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছিল। কিন্তু সন্ত্রাসীরা সেটাকে বিনষ্ট করছে। আমরা পাহাড়ে সে শান্তির সুবাতাস ধরে রাখার জন্য এ বিশেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ প্রধানমন্ত্রী জিরোটলারেন্সের মাধ্যমে দেশের সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ করেছেন, ঠিক একইভাবে পাহাড়েও সন্ত্রাস ও

জঙ্গীদের ছাড় দেওয়া হবে না। কোনোক্রমেই পাহাড়ে খুন-খারাবি, রক্তপাত, চাঁদাবাজী করতে দেওয়া হবে না। শান্তি চুক্তির পর যে সব এলাকা থেকে সেনা ক্যাম্প তুলে নেওয়া হয়েছে সেখানে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, আনসারের সদস্য বৃদ্ধি করা হবে। পার্বত্যাঞ্চলে হঠাৎ করে রক্তপাত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা ১০টায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের আয়োজনে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দবানের বিশেষ আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এসব কথা বলেন।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম. বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম, পুলিশের মহা-পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল

এস এম মতিউর রহমান ও তিন জেলার প্রশাসনের প্রধানগণ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আরও বলেছেন, পার্বত্যাঞ্চলে হঠাৎ করে রক্তপাত শুরু হয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচনীয় কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। একটা আতঙ্ক তৈরি করার জন্য এসব কর্মকাণ্ড তারা পরিচালনা করছে। তাই আমরা ঘোষণা করতে চায়, যেকোনো মূল্যে এ অঞ্চলে কোনো সন্ত্রাসীদের আস্থানা গড়তে দেওয়া হবে না। আমরা এ সন্ত্রাসীদের, এ জঙ্গীদের এ চাঁদাবাজদের পার্বত্যাঞ্চল থেকে বিতারিত করব।

তিনি বলেন, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার, গোয়িন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে পার্বত্যাঞ্চলের আইন শৃঙ্খালা রক্ষা করার জন্য বিশেষ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ অঞ্চলে সীমান্তগুলোতে বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করা হবে। যাতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীরা সীমান্তগুলো অপব্যবহার করতে না পারে। শুধু পার্বত্যাঞ্চলের জন্য সারা বাংলাদেশে সীমান্তগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। যাতে সন্ত্রাসীরা, জঙ্গীরা চাঁদাবাজী ও রক্তের হলি খেলা খেলতে না পারে, সে বিষয়েও বিশেষ নজড়দাঁড়ি রাখা হয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)