হংকংয়ে বিক্ষোভের সমর্থনে ট্রাম্পের নতুন আইন

হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের চলমান বিক্ষোভে সমর্থন দিয়ে একটি প্রস্তাবকে আইন হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ঘটনায় বেইজিংয়ের মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, চীন ও সেদেশের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থেকে এই আইন পাস করার কথা বলা হলেও ট্রাম্পের এ পদক্ষেপে সম্পর্কের আরও অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।

এছাড়া হংকংয়ের পুলিশের কাছে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও স্টান গানের মত অস্ত্র রফতানি নিষিদ্ধ করেও আরেকটি বিলও পাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ আইনটি মানুষের কাছে ভুল বার্তা পাঠিয়েছে দাবি করে হংকং সরকার জানায়, এটি পরিস্থিতি সহজ করার ক্ষেত্রে কোনো সহায়তা করেনি। নতুন আইনে বলা হয়েছে, হংকং চীনের অংশ হলেও তাদের স্বতন্ত্র আইনি ও অর্থনৈতিক নিয়মাবলী আছে। বার্ষিক পর্যালোচনায় যাচাই করা হবে যে হংকংয়ের আইনকে খর্ব করে চীন সেখানকার বেসামরিক স্বাধীনতা এবং আইনের শাসন ক্ষুন্ন করছে কি না। এছাড়া হংকং যেন তাদের বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে যথেষ্ট পরিমাণ স্বায়ত্বশাসন উপভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হংকংয়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র।

গত জুনে হংকংয়ের বিক্ষোভের শুরুর দিকে এই প্রস্তাবটি মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা হয় এবং গত মাসে বিশাল ব্যবধানে কংগ্রেস এটিকে অনুমোদন দেয়। হংকংয়ের বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা হলো, চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক হংকংয়ের জন্য কার্যকর হবে না।

হংকংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যেন মাথা না ঘামায়, আগেই এমন অনুরোধ করেছিল চীনের কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তারা বেইজিংয়ের মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে। সে সময় রাষ্ট্রদূতকে তারা সতর্ক করে যে হংকং বিষয়ে প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হলে যুক্তরাষ্ট্র এর ‘পরিণাম ভোগ করবে। ’

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ