দুই ঘণ্টায় ১২৩ টুইট ট্রাম্পের!

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের বিচার বিভাগীয় কমিটি গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্টের পেইমপিচমেন্ট প্রস্তাবের দুটি ধারায় সবুজ সঙ্কেত দিতেই চটে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিরোধী ডেমোক্র্যাট আর সংবাদমাধ্যমের একাংশের ‘ষড়যন্ত্র’ ফাঁসে মুখ খুলতে গিয়েই নতুন রেকর্ড গড়ে ফেললেন ট্রাম্প। দুই ঘণ্টায় তিনি ১২৩টি টুইট করে রেকর্ড করেছেন তিনি। সেসব টুইটের সারমর্ম হলো, কোনো ভুল না করা সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে ডেমোক্র্যাটরা যেভাবে তাকে ইমপিচ করতে উঠে পড়ে লেগে আছে, সেটা খুব অন্যায়। ভয়ঙ্কর এই দলটা নাকি আসলে যুক্তরাষ্ট্রের ভালো চায় না!

ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ, ২০২০ সালের ভোটে নিজের জায়গা অক্ষুণ্ণ রাখতে তাদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করাতে ইউক্রেনকে চাপ প্রয়োগ করছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখান থেকেই ইমপিচ-পর্বের সূত্রপাত ঘটে। বৃহস্পতিবার টানা ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন বিতর্ক হঠাৎ মাঝপথে থামিয়ে দিয়েছিলেন কমিটির চেয়ারম্যান জেরি ন্যাডলার। পিছিয়ে দেন ভোট। ভোট হয় গত শুক্রবার। সে ভোটে যে বিশেষ কোনো সুখবর আসছে না, তা আগেই আন্দাজ করেন ট্রাম্প। সে অনুসারে দিনের শুরু থেকেই তিনি তার টুইটার একাউন্ট থেকে বলতে শুরু করেন, 'আমি কোনো অন্যায় করিনি। বরং প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশকে সবচেয়ে পাকাপোক্ত অর্থনীতি দিয়েছি। ঢেলে সাজিয়েছি সেনাবাহিনীকে, চাকরি আর চাকরি। শুধু চাকরির বন্দোবস্ত করেছি সবার জন্য। তার পরেও ইমপিচমেন্টের নামে এই ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে!'

ভোটের ফল ঘোষণা হতেই শুরু হয় ট্রাম্পের টুইটের এই বন্যা। নাম ধরে ধরে আক্রমণ করতে থাকেন সংবাদমাধ্যমকে। হুমকি দিয়েও রাখলেন, 'খুব ভাল কথা। আগামী দিনে আসুক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট। হাউসের দখল তখন থাকবে রিপাবলিকানদের হাতে। তখন বুঝতে পারবেন, কত ধানে কত চাল! শুধু রাজনৈতিক সুবিধা নিতে ইমপিচ করতে চাইলে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি তো ঘটবেই। '

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/ডিএ