‘চিৎকার করলেই মেরে ফেলব’ ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণ’

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় হাফেজিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তিন যুবকের বিরুদ্ধে।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার সদর উপজেলার বোরর চর ইউনিয়নে এ ঘটনার পরদিন বুধবার সকালে ওই তিন অভিযুক্ত মাদ্রাসাছাত্রীকে গাড়িতে তুলে দেয়। পরে ওইদিনই ছাত্রীর বাবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাতালে ভর্তি করেন।

নির্যাতনের শিকার ওই মাদ্রাসা ছাত্রী জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বোরকা কিনতে মুক্তাগাছায় যাই। বোরকা কেনার পর বাড়িতে ফেরার জন্য সিএনজি খোঁজার সময় পূর্বপরিচিত ওবায়দুলের সঙ্গে দেখা হয়। ওবায়দুল আমাকে বলে আমিও যাব। পরে সিএনজিতে উঠতে বলে। সিএনজিতে কালো বোরকা পড়া একজনকে দেখে আমিও সিএজিতে উঠি।

মেয়েটি জানায়, হঠাৎ সিএনজি ভিন্নপথে চলতে শুরু করলে আমি চিৎকার শুরু করি। এ সময় বোরকা খুলে এক যুবক আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলে চিৎকার করলে মেরে ফেলব। পরে আমাকে বোরর চর ইউনিয়নে নির্জন একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে আমাকে শাকিল, ওবায়দুল, নাঈম পালাক্রমে ধর্ষণ করলে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

‘পরদিন সকালে ওই তিনজন আমাকে একটি গাড়িতে তুলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে গিয়ে মা-বাবার কাছে সব কিছু খুলে বললে তারা আমাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ওই মেয়ের বাবা বলেন, আমার মেয়ে বোরকা কিনতে মুক্তাগাছায় গেলে শাকিল, ওবায়দুল, নাঈম তুলে নিয়ে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করে। আমি ওই তিনজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাকের আহমেদ। তবে তাদের নাম ঠিকানা বলেননি তিনি।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, সদর থানা থেকে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে মুক্তাগাছা বা কোতোয়ালী যে কোনো থানাতেই মামলা করা যাবে বলে জানান তিনি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)