বৌ ভাতের খাবার খেয়ে দুই শতাধিক অসুস্থ

ঝালকাঠির নলছিটিতে বৌ ভাত অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে প্রায় দুই শতাধিক মেহমান অসুস্থ হয়ে পড়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার প্রতাপ গ্রামের প্রতাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর অবস্থায় তাদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল, নলছিটি ও বরিশাল শের-ই বাংলা হাপসাতলে ভর্তি করা হয়েছে।  

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাবারে বিষক্রিয়ায় অসুস্থরা বেশিরভাগ ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই বমি করে অজ্ঞান হয়ে পড়েছে।

অসুস্থদের স্বজন খাদিজা বেগমসহ অনেকে জানায়, রোববার দুপুরে নলছিটির প্রতাপ গ্রামে ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে মেয়ের পক্ষ থেকে ৬০জনসহ দুপক্ষের প্রায় ২৫০ জন আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন। দুপুরে খাবার খেয়ে সকলেই বমি করতে থাকেন। বিকেল থেকে শুরু করে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তারা ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল, নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশাল শেবাচিম’এ ভর্তি হয়। প্রত্যেকেরই বমি ও পাতলা পায়খানা হচ্ছে।

অনেকে বমি করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। খাবার খেয়ে অসুস্থ রিমির মা খাদিজা বেগম বলেন, দুপুরে আমার স্বামী ও মেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে বাসায় গিয়ে কিছুক্ষণ পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত বমি ও পেটে ব্যাথা করলে, তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসি। এখানে এসে দেখি দুই শতাধিক মানুষের একই সমস্যা।

বরের বোন সারমিন আক্তার বলেন, আমার পরিবারের সকলেই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছে। রান্নায় কোনো সমস্যা হওয়ায়, সকলের এই অবস্থা হতে পারে।

তবে বর আমার ভাই নজরুল ও তাঁর স্ত্রী খাবার না খাওয়ায় সুস্থ আছেন।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সিয়াম আহসান বলেন, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে দুই শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। একজন চিকিৎসক থাকায় তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকের অবস্থা গুরুতর। তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

আড়াই ঘণ্টার মধ্যে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও অতিরিক্ত ডাক্তার না থাকার কারণ জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাক্তার আনোয়ার হাসপাতালে যাবেন, আপনি অপেক্ষা করুন।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান বলেন, আমি এ ঘটনা এখনও শুনিনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)