মাকে হত্যা করতে প্রেমিকের সহযোগিদের ভাড়া করে মেয়ে

মানিকগঞ্জে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিক ও তার সহযোগিদের দিয়ে নিজের মাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করান মেয়ে জুলেখা আক্তার জ্যোতি।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সহযোগী ছিল প্রেমিক ও তার তিন বন্ধু। হত্যার শিকার মায়ের নাম মাহমুদা বেগম।  

সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে জুলেখা আক্তার জ্যেতি, প্রেমিক নাঈম ও তার বন্ধু রাকিবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার জুলেখা আক্তার জ্যেতি, প্রেমিক নাঈম ও তার বন্ধু রাকিব মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র বিচারক শাকিল আহম্মেদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের উপপরির্দশক (এসআই) শামীম আল মামুন জানান, গত নভেম্বরে স্বামীর সঙ্গে জ্যোতির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরই মধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে ঢাকার কেরানীগঞ্জের আরাকুল গ্রামের নাঈমের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নিজেরা বিয়ের জন্য প্রস্তুতিও নেন। কিন্তু জ্যোতির মা মাহমুদা বেগম এতে রাজি ছিলেন না। তিনি মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। পাশাপাশি মেয়েকে শাসনও করতেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিক নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে জ্যোতি নিজের মাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

‌‘২১ জানুয়ারি রাতে প্রেমিক নাঈম, রাকিবসহ আরও দুই বন্ধু জ্যোতির শোয়ার ঘরে অবস্থান নেন। বন্ধুদের ভাড়া করা হয় দেড় লাখ টাকায়। এর মধ্যে জ্যোতি তার স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১৬ হাজার টাকা দেয় হত্যাকারীদের। রাতেই হত্যাকাণ্ড ঘটনার পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।

এসআই শামীম আল মামুন আরও জানান, ২২ জানুয়ারি (বুধবার) সকালে জ্যোতির বাবা জহিরুল ইসলাম আলিয়ার প্রাতর্ভ্রমণে বাড়ির বাইরে যান। আর মা মাহমুদা বেগম সেলাই মেশিনে কাজ করার জন্য বসেন। এই সুযোগে মাহমুদা বেগমের রুমে ঢোকেন নাঈমসহ আরও দুইজন। এরা রুমে ঢুকেই মাহমুদা বেগমকে গলা টিপে হত্যা করেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)