‘পদত্যাগ না করলে সরকারকে লাথি মেরে নামাতে হবে’ ড. কামাল হোসেনের এ উক্তিকে আপত্তিকর ও রাস্তার ভাষা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, কামাল সীমা ছাড়িয়ে গেছেন।
রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ ও পুরনো তিনটি সেতুর পুনর্বাসন প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বলেন সেতুমন্ত্রী।
এর আগে গত শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর ও তার মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, ঘরোয়াভাবে সভা-সমাবেশ না করে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। সরকার পদত্যাগ না করলে লাথি মেরে নামাতে হবে। আমাদের নির্বাচনের নামে প্রহসন সহ্য করতে হচ্ছে। যারা নির্বাচিত না, তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আছে। এটা জনগণ মেনে নেবে না। ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজের অধিকার কেড়ে আনতে হবে।
ড. কামালের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. কামাল হোসেন বিএনপির সমাবেশে সরকারকে লাথি মেরে উচ্ছেদ করবেন বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা গণতান্ত্রিক ভাষা হতে পারে না, এটা রাস্তার ভাষা। তার মতো ব্যক্তি কী করে এমন ভাষায় কথা বলেন? ড. কামাল সীমা ছাড়িয়ে গেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি একটা ব্যাপারে খুবই ব্যথিত ও দুঃখিত। আমরা রাজনীতি করি, রাজনীতির একটা ভাষা আছে। প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার রাজনীতির ভাষা আছে, গণতন্ত্রেরও ভাষা আছে। কিন্তু এর সীমা তারা গতকাল সমাবেশে ছাড়িয়ে গেছেন। বাংলাদেশের মানুষ ব্যথিত। ড. কামাল হোসেন কীভাবে সমাবেশে রাস্তার ভাষা ব্যবহার করলেন। তিনি কী করে বললেন, সরকারকে লাথি মেরে নামাবেন, সরকারকে লাথি মেরে বাংলাদেশ ছাড়া করবেন? এটা রাস্তার ভাষা, গণতন্ত্রের ভাষা নয়।
খালেদা জিয়ার আন্দোলনে সহিংসতা হলে জবাব দেওয়া হবে হুঁশিয়ার করেন ওবায়দুল কাদের।
বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি আন্দোলনের নামে আবারও দেশে জ্বালাও-পোড়াও করে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপযুক্ত জবাব দেবে।
‘খালেদা জিয়ার মামলাগুলো রাজনৈতিক নয়। তার এই মামলা সরকার করেনি। তার মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের। তাকে রাজনৈতিকভাবে মুক্ত করার সুযোগ নেই। খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করা আদালতের ব্যাপার। আর এই মামলা বিলম্বের জন্য বিএনপি নিজেরাই দায়ী। ’
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)