নিজ কক্ষে কিশোরীসহ যুবলীগ নেতা ধরা

শেরপুরের নকলায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এক কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি। আব্দুল জলিল (৪০) নামে ওই যুবলীগ নেতা উপজেলার গণপদ্দি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক।

গতকাল মঙ্গলবার ভোরের দিকে এলাকাবাসী ওই কিশোরীসহ জলিলকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এলাকার চেয়ারম্যান সামছুর রহমান আবুল।   এদিকে মেয়ের মা নূরেজা বেগম বাদী হয়ে জলিলের বিরুদ্ধে রাতে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। তবে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কতিপয় নেতা জোর চেষ্টা চালিয়ে উত্তেজিত জনতার চাপে ব্যর্থ হন। অন্তত ১৫ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নকলা থানা-পুলিশ জলিলকে উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে উদ্ধার করে আটক করেন।     এদিকে এই অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে নকলা উপজেলা যুবলীগ রাতেই জলিলকে বহিষ্কার করে প্রেস ব্রিফিং দিয়েছেন।  

নকলা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক  রফিকুল ইসলাম সোহেল, যুগ্ম আহবায়ক এফএম কামরুল আলম মঞ্জু ও রেজাউল করিম রিপন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।       জানা গেছে, যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল এর আগে অন্তত চারটি বিয়ে করেছেন। কিন্তু সংসার টেকেনি। পাঁচ মাস আগে গণপদ্দি ইউনিয়নের পূর্ব চিতলিয়ায় এলাকায় ভাড়া বাসায় জলিল একাই  থাকেন। এই সুযোগে ওই কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে প্রতিদিনই কথা বলেন। বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছে বিরক্তির কারণ হলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছিলেন না। গতকাল গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে ওই নেতা ও মেয়েটিকে আটক করে।

নকলা থানার ওসি আলমগীর হোসেন শাহ জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়ে জলিলকে আটক করা হয়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)