শিবচরে শুনশান নীরবতা

লকডাউন শিবচর: ৪ এলাকার পথে পথে পুলিশ

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা। একসময় ছিলো প্রাণচাঞ্চল্য। এখন এই শহরে শুনশান নিরবতা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে এই জনপদে। প্রবাসী অধ্যুষিত এই এলাকা করোনা ঝুঁকিতে শীর্ষে রয়েছে সারা দেশের মধ্যে। মাদারীপুর জেলা প্রশাসন বলছে করোনা ঝুঁকির কারণে নাগরিকদের চলাচলে বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ওষুধ, কাঁচামাল ও মুদি দোকান ছাড়া সবধনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণজমায়েত ও লোকাল পরিবহন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচরে ‘লকডাউনের’ পর অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনার উপজেলার চারটি এলাকায় প্রায় ১২ হাজার মানুষ কোয়ারেন্টিন করে রাখা হয়েছে। এসব এলাকার প্রবেশপথ ও বাহির হওয়ার পথে গতিরোধ নিয়ন্ত্রণ করতে ১৬টি পয়েন্টে প্রায় ২৫০ জন পুলিশ মোতায়ন করা রয়েছে।

করোনা আতঙ্কে হাটবাজারগুলোতে মানুষের আনাগোনাও কমে গেছে। মানুষ ঘর থেকে খুব একটা বের হচ্ছে না। পুরো শিবচর উপজেলায় খাদ্য ও ওষুধ ছাড়া অন্য দোকানপাট ও গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও কয়েকটি দোকান খোলা রাখায় আর্থিক জরিমানা করা হয়। ফলে রাস্তায় লোকজনের সমাগম নেই বললেই চলে।

প্রশাসনে কঠোর নির্দেশনা থাকলেও বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রবাসী আসে মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। যাদের অধিকাংশই হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান না করে প্রকাশ্যে চলাফেরা করেছে। ফলে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন থেকে শিবচর উপজেলায় কিছু বিধি-নিষেধ আরোপ করে। এরমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ চারটি এলাকা প্রশাসনের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যে সকল প্রবাসীরা মানবেন না তাদেরকে বাধ্যতামূলক শিবচর শেখ ফজিলাতুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখার নির্দেশ রয়েছে। তবে দুটি মুদি দোকান খোলা রাখায় ২০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, শিবচরের ৪টি এলাকা করোনা সংক্রমণ রোধে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। এসব এলাকায় প্রবেশ পথে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তাদের বাইরে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, যেসব এলাকায় বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেই এলাকার মানুষদের খাদ্য ও জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র স্বেচ্ছাস্বেবীদের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যেগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও গরীব মানুষের খাদ্য সহয়তার জন্য রিলিফের ব্যবস্থাও করা হবে বলে তিনি জানান।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)