লক্ষ্মীপুরে হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক শাহ মনির পলাশের (২৮) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবরে বিক্ষোভ করছে এলাকাবাসী।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পলাশ দৈনিক রূপবানী পত্রিকার লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের স্নাতক (বিএ) ফলপ্রার্থী ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের মাছিমনগর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানা যায়, বুধবার সকাল নয়টায় সাংবাদিক পলাশদের বাগানের গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে তার দুই জেঠাতো ভাই আবু ইউছুফ (৫০) ও আবু ছায়েদ (৪৫) । বাধা দিলে পলাশের বাবাকে ইট নিক্ষেপ করে তারা।
এতে পলাশের বৃদ্ধ বাবা আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় বাবাকে উদ্ধার করতে গেলে তাকে রড দিয়ে মাথায় ও বুকে আঘাত করে তারা। মাথা পেটে তাৎক্ষণিক তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তখন ভাইকে বাঁচাতে গেলে বোন নাছিমা আক্তার বেগমকে (৩৫) মারধর করা হয়।
আশপাশের লোকজন এসে পলাশকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে নোয়াখালী হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসকরা। পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অভিযুক্ত আবু ইউছুফ ও আবু ছায়েদ নাছিমনগর গ্রামের হাজী আক্তারুজ্জামানের ছেলে। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় আবু ইউছুফের স্ত্রী ফয়েজুন নেছাকে আটক করেছে পুলিশ।
এসআই রেজাউল করিম বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পলাশকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থাতায় তার মৃত্যু হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।