ডিশ ব্যবসায়ীর মাথায় কোপ, ২ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

রংপুরে ডিশ ব্যবসায়ীকে কোপানো অভিযোগে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- মহানগর ছাত্র লীগের যুগ্ন সম্পাদক তুষার ও সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার।

মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার এসআই এরশাদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি চৌকস দল রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকার শুটকীর মোড় এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সেখানে ফেনসিডিল সেবন করতে ওই এলাকায় গিয়েছিল।

উল্লেখ্য, রংপুর নগরীর মুলাটোল পাকার মাথা এলাকার বাসিন্দা নাহিদ চৌধুরী ডিশ ব্যবসা করে। পার্শ্ববর্তী বাবু খাঁ এলাকার ছাত্রলীগ রংপুর মহানগর শাখার যুগ্ন সম্পাদক তুষার, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদার ছাত্র লীগ নেতা নয়ন ও কালু ডিশ ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে টাকা না দিলে ডিশের ব্যবসা করতে দেওয়া হবেনা বলে হুমকি দেয়। কিন্তু নাহিদ টাকা দেবে না বলে জানালে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এরই জের ধরে বুধবার বিকেলে ডিশ ব্যবসায়ী নাহিদ চৌধুরীকে মোবাইল ফোনে বাবুখাঁ এলাকায় ডেকে নেয় ছাত্রলীগ নেতা তুষার। নাহিদ সেখানে গেলে ছাত্রলীগ নেতা তুষার ও দিদারের নেতৃত্বে অন্যান্য সহযোগীরা রাম দা দিয়ে নাহিদের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে আহত করে তাকে রাস্তার পার্শ্বে ড্রেনে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে এলাকাবাসী ও নাহিদের স্বজনরা খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ২৩ নম্বর বেডে চিকিৎসাধিন।

গত তিন দিনেও তার জ্ঞান ফেরেনি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে ডিশ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করার পরেও দফায় দফায় তাদের বাড়ি সহ আশেপাশের এলাকায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতা তুষার ও দিদাদের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা।

তারা মোতালেব নামে এক আসবাবপত্র ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে মালামাল লুট ও বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এলাকাবাসী এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ভাবে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের তাণ্ডব বলে অভিযোগ নাহিদ চৌধুরীর বড় ভাই সেলিম চৌধুরী সহ তাদের স্বজনদের।

এ ঘটনায় আহত ডিশ ব্যবসায়ী নাহিদ চৌধুরীর স্ত্রী ফেন্সি বেগম বাদী হয়ে ছাত্র লীগের দুই শীর্ষ নেতা সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করে।

কোতয়ালী থানার এস আই এরশাদ আলী জানান মামলা হবার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অবশেষে নগরীর শুটকীর মোড় এলাকা থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তরে অভিযান চলছে।

তিনি আরও জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ডিশ ব্যবসায়ীর মাথায় ১৮টি সেলাই পড়েছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)