গাজীপুরে র‌্যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' সন্ত্রাসী নিহত

গাজীপুরের টঙ্গীতে ২২ ঘণ্টার ব্যবধানে শুক্রবার রাতে র‌্যাব-১’র সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' আরেক সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে দুইটি বিদেশী পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলিসহ ৮০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে।

হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, পুলিশের উপর হামলা ও মাদকসহ ১৮টি বিভিন্ন মামলার আসামি সে।

নিহতের নাম শামীম হোসেন ওরফে হাসান (৩০)। সে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গীর মাজারবস্তি এলাকার বাসিন্দা রুহল আমিনের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর।

র‌্যাব-১’র পোড়াবাড়ী স্পেশালাইজ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী বাজারের পাশে মাজারবস্তি এলাকায় একদল মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। খবর পেয়ে র‌্যাব-১’র সদস্যরা সেখানে যায়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে।

আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়ে। দু’পক্ষের গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। এসময় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী শামীম হোসেন ওরফে হাসানকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ হাসানকে উদ্ধার করে স্থানীয় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে দুইটি বিদেশী পিস্তল, ৮ রাউন্ড গুলি ও দু’টি ম্যাগজিনসহ ৮০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।

র‌্যাব’র ওই কর্মকর্তা আরও জানান, সন্ত্রাসী হাসান টঙ্গী ও বনানী থানার একজন মোস্ট ওয়ান্টেড আসামি। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, পুলিশের উপর হামলা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৮/২০টি মামলা রয়েছে। হাসান ও তার দল টঙ্গী, উত্তরা ও বনানী এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতো বলে জানা গেছে।