শাহজালালে উড়োজাহাজ আটকে দিল মশার দল!

এবার আর পাখি নয়, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ আটকে দিল ঝাকে ঝাকে মশা! শুনতে অবাক লাগলেও বৃহস্পতিবার রাতে এমন ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা। ওই উড়োজাহাজটি যাত্রী নিয়ে রানওয়ের দিকে এগোলেও মশার কারণে ফিরে আসতে হয়। পরে মশা নিধন শেষ করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে সক্ষম হয় ফ্লাইটটি। ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে দুই ঘণ্টা।  

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত রাতে যে ঘটনা ঘটেছে তা শাহজালাল বিমানবন্দরে নতুন কিছু নয়। সন্ধ্যার পর সব ফ্লাইটেই একই অবস্থা। কিছুদিন আগে কাতার এয়ারওয়েজেও একই অভিযোগ পাওয়া যায়। সূর্য ডুবলেই পুরো বিমানবন্দর এলাকা মশার দখলে চলে যায়। কোথাও স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। নাক-মুখ দিয়ে মশা ঢুকে যায়।

ওই সূত্রটি আরও জানায়,  যাত্রীরা অভিযোগ করলেও কোন লাভ হয় না। মশা মারার জন্য প্রতি বছর বড় অংকের টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও মশা কমে না। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের যাত্রীরা অনেকটা অভ্যস্থ হয়ে গেছে। অভিযোগ দিলেও কাজ হয় না তারা জানে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে অনেক সময় ভিআইপি যাত্রী থাকে। গত রাতে যাত্রীরা বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়ায় সম্ভবত  ফ্লাইট থামাতে বাধ্য হন পাইলট।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার পথে ফ্লাইটটি রওনা দেওয়ার কথা ছিল। বিমানবন্দরে আলফা-২ বে এরিয়া থেকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের (এমএইচ ১৯৭) ফ্লাইটটি যাত্রীদের নিয়ে উড্ডয়নের জন্য রানওয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু, যাত্রী ওঠার সময় উড়োজাহাজে ঢুকে পড়ে শত শত মশা। যাত্রীরা চেঁচামেচি ও হট্টগোল শুরু করে দেয়। মশার উৎপাতে রাত দেড়টায় চলন্ত ফ্লাইটটিকে রানওয়ের মুখে থামিয়ে দিতে বাধ্য হন পাইলট। পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় চলে মশক নিধন অভিযান। পরে রাত ২টা ৪৬ মিনিটের দিকে উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

এদিকে বিমানে মশার উৎপাত ও ছাড়তে বিলম্ব হওয়ায় হৈ চৈ শুরু করে দেন যাত্রীরা। দুঃখ প্রকাশ করে তাদেরকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন এয়ারলাইন্সের কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আজিজ জানিয়েছেন, মশার কারণে তাদের ফ্লাইটটি যথাসময়ে ছাড়তে পারেনি। বে এরিয়া থেকে যাত্রী ওঠানোর সময় উড়োজাহাজে মশা ঢুকে পড়ে। যাত্রীরা মশার উৎপাতে বিরক্ত হয়ে এয়ারলাইন্সের কর্মীদের কাছে অভিযোগ দেন। বাধ্য হয়ে উড়োজাহাজটি থামিয়ে দেন পাইলট। পরে মশা নিধন করে পুনরায় ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়।