দুর্নীতি ও অনিয়মই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ

মানুষের অসচেতনতা আর দায়িত্বশীলদের অবহেলাই নয়, সেই সাথে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়িয়েছে। এমনটাই বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর এমন বাস্তবতায় আজ দেশে করোনা শনাক্তের ৪ মাস পূর্ণ হলো। করোনা ঠেকাতে গৃহীত পদক্ষেপের পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি দমনেও সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড জাতীয় কমিটি।

করোনাকালে স্বাস্থ্যখাতের চরম দুর্নীতি দৃশ্যমান হয় চিকিৎসকদের নিম্নমানের মাস্ক-পিপিই দেওয়ার ঘটনা সামনে এল। নিম্নমানের সুরক্ষা সামগ্রীর কারণে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হন অনেক চিকিৎসক।

এরপর কোভিড নাইনটিন টেস্টের ভূয়া ফলাফল দেয় জেকেজি নামের প্রতিষ্ঠান। ফলে দেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর সাধারণ ছুটির সুফল পায়নি দেশ। সম্প্রতি রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠে একই অভিযোগ। ৬ বছর লাইসেন্স ছাড়াই চিকিৎসা সেবার নামে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মানুষের অসচেতনতা আর দায়িত্বশীলদের অবহেলার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিকেও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন।

চিকিৎসকদের সংগঠন বিডিএফ বলছে, দুর্নীতি না কমালে সরকারের নেওয়া করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমও ব্যাহত হবে। কোভিড জাতীয় কমিটি বলছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমিয়ে আনতে সরকারের গৃহীত সকল পদক্ষেপের পাশাপাশি কঠোরভাবে দমন করতে হবে দুর্নীতিও।

৮ মার্চ থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত দেশে মোট করোনা সনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৭২ হাজার ১৩৪ জন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ)