মহিষের মাংসকে গরুর ভেবে যুবককে হাতুড়ি পেটা

গো-মাংস আছে সন্দেহে ভারতের গুরুগ্রামে এক যুবককে প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। কিন্তু নীরব দর্শকের ভূমিকা নিল পুলিশ। শুক্রবার সকালের এই ঘটনা ফের হরিয়ানার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলল।

শুক্রবার সকালে গুরুগ্রাম শহরেই এই ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আজকালের খবরে প্রকাশ, লুকমান নামের ওই গাড়ির চালক একটি ছোট গাড়িতে মাংস নিয়ে যাচ্ছিলেন। গোরক্ষকদের সন্দেহ হয় লুকমানের গাড়িতে গোমাংস আছে। তারা পিছু নেই ওই যুবকের। প্রায় ৮ কিলোমিটার তাড়া করার পর লুকমানকে ধরে ফেলে তারা। গাড়ি থেকে টেনে–হিঁচড়ে বের করে আনা হয় চালক লুকমানকে। তারপর রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে কয়েকজন তথাকথিত গোরক্ষক। এরপর লুকমানকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গুরুগ্রামের বাদশাপুর গ্রামে। সেখানে আবার মারধর করা হয় তাঁকে। ততক্ষণে খবর পেয়েছে পুলিশ। তাঁরা ঘটনাস্থলে যায়।

কিন্তু অভিযোগ, পুলিশের সামনেই মারধর করা হয় ওই যুবককে। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। শুধু অজ্ঞাতপরিচয় কিছু যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। লুকমানের গাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত মাংস পাঠানো হয়েছে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য। যদি সেটা গোমাংস হয়ে থাকে তাহলে লুকমানের বিরুদ্ধেও শুরু হবে তদন্ত। আপাতত লুকমানের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।

যদিও ওই গাড়িটির মালিকের দাবি, বছর পঁচিশের ওই যুবক গোমাংস পাচার করছিলেন না। তিনি জামা মসজিদের কাছে একটি দোকানে মহিষের মাংস দিতে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই এই ব্যবসার সঙ্গে তিনি যুক্ত।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)