উত্তরার দিয়াবাড়ীতে নির্মাণাধীন মেট্রোরেল ডিপোর প্রায় ৭২ ভাগ কাজ শেষ। প্রায় পুরো গতিতেই চলছে ডিপোর কাজ। যেখান থেকে ২৪ সেট ট্রেন যাতায়াত করবে উত্তরা থেকে মতিঝিল।
এরইমধ্যে-বাংলাদেশে আনার জন্য জাপানে প্রস্তুত হয়েছে এক সেট ট্রেন। প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন-করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
উত্তরার দিয়াবাড়ীতে ৫৯ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের ডিপো। করোনা মহামারীর মধ্যে যেখানে এত এত শ্রমিক কাজ করছেন নিরলসভাবে।
অবশ্য দু-দফা করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ার পরই সবাই যোগ দিয়েছেন কাজে। মেট্রোরেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষনের জন্য ডিপোতে নির্মিত হচ্ছে-ছোট বড় ৫২টি অবকাঠামো। যেখানে থাকছে ওয়ার্কশেড, ওয়ার্কশপ, ওয়াশিং প্লান্ট, মেট্রোর সেন্ট্রাল কন্ট্রোল স্টেশন।
এরইমধ্যে-ডিপোর ভূমি উন্নয়নের শতভাগ কাজ শেষ। অবকাঠামোসহ সার্বিক পূর্তকাজের অগ্রগতি ৭১ দশমিক ৫ ভাগ।
মেট্রোরেলের ট্রায়াল রান লাইনের পাশাপাশি ডিপোর ভেতরে প্রায় ২০ কিলোমিটার বসানো হবে রেলপথ। যেগুলো ব্যবহার করে মেট্রো ট্রেন মেরামত, ধোয়া-মোছাসহ হবে আনুষঙ্গিক বিভিন্ন কাজ।
উত্তরা থেকে মতিঝিল যাত্রীসেবা দিতে কেনা হচ্ছে ২৪ জোড়া ট্রেন। সরবরাহ করবে জাপানের কাওয়াসাকি-মিত্সুবিশি কনসোর্টিয়াম। এরই মধ্যে জাপানে এক সেট ট্রেন প্রস্তুত করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ট্রেনটি বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নেবে কর্তৃপক্ষ।
জাপানে আরো চার জোড়া ট্রেনের কাজ চলমান। চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ জোড়া এবং বাকি ১৯ জোড়া ট্রেন ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। যেখানে সবমিলিয়ে খরচ হচ্ছে-৪ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম