মাদারীপুরের শিবচরে নদী ভাঙনে বিলিন হয়েছে কমপক্ষে ১৩টি গ্রাম। হুমকির মধ্যে পড়েছে অনেক বসত-ঘরবাড়ি, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ভাঙণ আতঙ্কে দিশেহারা নদী তীরবর্তী মানুষ।
এদিকে, একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের নদী ভাঙন ও বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হওয়ায় পাল্টে যাচ্ছে এ জেলার ভৌগলিক মানচিত্র। স্থায়ী বাঁধের অভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে স্বরুপকাঠী, কাউখালী, মঠবাড়িয়া ও পিরোজপুর সদরসহ নদী পাড়ের কয়েক লাখ মানুষ।
মাদারীপুরের শিবচরে চরাঞ্চলের কাজীশুরা গ্রামে একসময় ছিলো বাজার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল, মাদ্রসা। শহরায়নের সব সুবিধাই ছিলো গ্রামটিতে। কিন্তু সম্প্রতি পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে পুরো গ্রামটি বিলিন হয়ে গেছে নদী গর্ভে। শুধু কাজীশুরাই নয় গত ১০ বছরে শিবচরের পদ্মা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কমপক্ষে ১৩টি গ্রাম।
গত এক যুগে এ উপজেলায় ২৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ১০ হাজার পরিবার নদী ভাঙ্গনে আক্রান্ত হয়ে নিঃস্ব হয়েছে। শুধুমাত্র স্থায়ী বাঁধ না থাকায় আধুনিকতার ছোঁয়া পাওয়া চরাঞ্চলের ৪টি ইউনিয়ন নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার পথে।
বরাবরের মতো বাঁধ রক্ষায় এবং চরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানালেন প্রশাসনীক কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে প্রতিবছর বরাদ্দ ৫০ কোটি টাকা; তবুও সীমাহীন দুর্ভোগ
এদিকে, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় আম্পান, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি ও টানা বর্ষণে পিরোজপুরের ২শ ৯২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে স্বরুপকাঠী, কাউখালী, মঠবাড়িয়া ও পিরোজপুর সদরসহ নদী পাড়ের কয়েক লাখ মানুষ।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বছরের পর বছর সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা বেড়িবাঁধ নির্মাণে আশ্বাস দিলেও বাস্তবে নেই কোনো কার্যক্রম। এমন কী বিভিন্ন সময় বেড়ীবাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন, আন্দোলন করেও সুরোহা হয়নি সমস্যা সমাধানের।
নদী পাড়ের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে পানি উন্নয়ন বোর্ড অচিরেই নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকাসমূহ চিহ্নীত করে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমনটাই আশা স্থানীয়দের।
নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ