স্বাস্থ্য ঝুঁকি: চকলেট বা আচার সবই ভেজাল

আপনার বাচ্চাকে যে চকোলেট খাওয়ান তা কি স্বাস্থ্যসম্মত? নাকি শুধু চিনির সঙ্গে ক্ষতিকর কেমিক্যালে তৈরি। আর শখ করে যে আচার খান, তাতে কুল বা আমের অস্তিত্ব কতটুকু? রাজধানীর হাজারিবাগের কারখানায় অনুসন্ধানে মিলে চমকে যাওয়া সব দৃশ্যপট।  

চকোলেট। বাচ্চাদের শখ আর অতি আবদারের এক খাদ্য উপকরণ। রংচটা মোড়কের এই পণ্যটি তৈরির খবর জানা তো ভোক্তাদের কাছে বেশ দুরুহ।

হাজারিবাগে এই কারখানায় মেলে চমকের পর চমক। ক্ষতিকর নানা কেমিক্যাল আর ফ্লেভারে রাতেই তৈরি হয়েছে এইসব চকোলেট। বাচ্চাদের শখের পণ্যটি আবার প্যাকেটজাত হচ্ছে এমনই নির্দয়ভাবে।

চমকের শেষ এখনেই নয়। অবৈধভাবে নামী সব ব্র্যান্ডে মোড়কজাত করে এসব বাজারজাত করছে জালিয়াতচক্র।

এবার মা-বোনদের ভীষণ প্রিয়, আচার। নামেই জিভে জল আনে। কিন্তু লোভনীয় এই আচার কিভাবে তৈরি হয়েছে। হাজারীবাগে জয়নাল আচার কারখানা। হিন্দি গানের তালে, মহা ধুমধামে খোলা হাতেই চলছে নির্মাণ পর্ব।  

আরো ভেতরে ঢুকতেই মেলে আচার তৈরির আসল রহস্য। পাশের দেশ থেকে আনা বস্তাভর্তি বড়ইয়ের শুকনো ছোবড়া আর আটি। বড়ইয়ের অস্তিত্ব না থাকলেও আছে অনুমোদনহীন রং, সাইট্রিকসহ বিপজ্জনক কেমিক্যাল মজুদ। কারখানাটিরও নেই কোনো অনুমোদন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

আরও পড়ুন: এবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ডিপজল

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল আইউম সরকার জানান, খাদ্যে যে কোন ধরণের কেমিক্যাল ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং এসবের কারণে শরীরে যে কোন রোগেরও সৃষ্টি হতে পারে।  

ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া জানান, যারা ভেজাল খাদ্য তৈরি করছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

নীরব ঘাতক ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ করা না গেলে মানব স্বাস্থ্য আরো ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়বে বলে মত বিশ্লেষকদের।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ