নদী ভাঙন: ভিটে মাটি হারিয়ে নিঃস্ব তিস্তা পাড়ের মানুষ

কুড়িগ্রামের উলিপুরের বজরা ইউনিয়ন এলাকায় তিস্তার ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এই এলাকায় গাইবান্ধা জেলার নদী বিচ্ছিন্ন অংশ কাশিমবাজারেও চলছে তাণ্ডব।  

ভাঙনে গেল দুই সপ্তাহে নদী গর্ভে বিলীন  হয়েছে দুই জেলার তিন শতাধিক বাড়ি-ঘরসহ স্কুল ও মসজিদসহ বহু স্থাপনা। দুই জেলার সীমানা হওয়ায় রশি টানাটানি, সরকারি কর্মকর্তাদের নজরদারির অভাবে ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে নদী তীরবর্তি হাজারো মানুষ।

কুড়িগ্রামের উলিপুরের বজরা ইউনিয়ন ও কাশিমবাজারে তিস্তার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গেল কয়েকদিনের ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার  কয়েক’শ বসতবাড়ি, ফসলী জমি, স্কুল-মাদ্রাসাসহ বহু স্থাপনা। এছাড়াও এই এলাকায় একমাত্র চলাচলের পথ চিলমারী-কাশিমবাজার থেকে উলিপুর সড়কের প্রায় ২০০ মিটার সড়কপথ নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হুমকীর মুখে রয়েছে ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজারসহ প্রায় দুই হাজার পরিবার।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই জেলার সীমানা হওয়ায় রশি টানাটানি ও সরকারি কর্মকর্তাদের নজরদারির অভাবে প্রতিবছরই ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটে মাটি হারাচ্ছেন তারা।

আরও পড়ুন: রিফাত হত্যা মামলার রায় ৩০ সেপ্টেম্বর

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলছে, অর্থ বরাদ্দ পেলেই তিস্তার ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, তিস্তা, ধরলা নদীর ৬৭টি পয়েন্টে প্রায় ৮কিলোমিটার  এলাকা জুড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এরমধ্যে ৫৩টি পয়েন্টে ৬ কিলোমিটার জায়গায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ চলছে বলেও জানায় সংশ্লিস্টরা।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ