রিফাত হত্যাকাণ্ডে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির ভবিষ্যৎ কি?

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ড পাওয়া ৬ জনই তরুণ বয়সের। আর শিশু আদালতে বিচারাধীন মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি ১৪ জন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলছেন, সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে কিশোর যুবকদের রক্ষায় পরিবারকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। আর অপরাধী যেই বয়সেরই হোক দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি সচেতন মহলের।

২০১৯ সালের ২৬ জুন প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। এ হত্যাকান্ডে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত বয়স্ক ৬ জন জড়িত বলে আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। আর শিশু আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন।

এরইমধ্যে দণ্ডাদেশ পাওয়া ৬ জনের জীবন থমকে গেলো ফাঁসির আদেশে। কিন্তু এদের প্রত্যেকেরই পরিবারেরই রঙিন স্বপ্ন ছিলো সন্তানকে নিয়ে।

বরগুনায় কিশোর গ্যাং কালচার চোখে পড়ার মত। উঠতি বয়সী যুবকরা মাদকের ছোবলে কিংবা নিজেকে হিরো প্রমাণে মরিয়া। আর, স্বার্থ হাছিলে যার পেছনে রাজনীতির কালো হাত।

আরও পড়ুন: যে সকল অভিযোগে ফাঁসির আসামি মিন্নি

রিফাত হত্যার রায়ের পর্যবেক্ষণেও কিশোর-যুবকদের মানবিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সমাজ তথা পরিবারকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

বরগুনার কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে আরো সর্তক নজরদারির কথা জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী।

পর্দা আড়ালে থেকে বরগুনায় যারা কিশোর গ্যাং কালচারকে পৃষ্টপোষকতা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

news24bd.tv সুরুজ আহমেদ