সুইজারল্যান্ডে মাটির নিচে হাসপাতাল

সুইজারল্যান্ডের মাটির নিচে বা আন্ডারগ্রাউন্ড বাংকার সিস্টেমে রয়েছে ৯৪ টি সুরক্ষিত হাসপাতাল এবং ২৪৮টি সুরক্ষিত মেডিকেল সেন্টার। এ সব হাসপাতাল এবং চিকিৎসা কেন্ত্র গুলোতে রয়েছে অন্তত ৫ হাজারেরও বেশী আধুনিক বেড বা বিছানা এবং চিকিৎসা কাজে ব্যাবহৃত সব যন্ত্রপাতি।

কোল্ড ওয়ার বা ঠান্ডা যুদ্ধের সময় এ হাসপাতালগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল । উদ্দেশ্য ছিলো যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে জনগনকে নিরাপদ রাখা ও আহতদের চিকিৎসা দেওয়া।

এই সব বাংকার বা আন্ডার গ্রাউন্ডের হাসপাতালগুলোর রক্ষণাবেক্ষনে প্রতিবছর মিলিয়ন মিলিয়ন ফ্রাংক খরচ হচ্ছে। এসব খরচ হচ্ছে বেড এবং অন্যান্য আসবাবগুলো ঠিকঠাক রাখতে।

এসআরএফের খবরে জানা যায়, এসব বাংকারে থাকা ইকুইপমেন্টের অনেকগুলোতে  জং বা মরিচা ধরেছে। অদলবদল তথা হালনাগাদ করতেও খরচ হচ্ছে প্রচুর অর্থ। দেখভাল করতেও কর্মী নিয়োগ করতে হয়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে এই ডিজিটাল যুগেও কি মাটির নিচের হাসপাতালগুলোর কোন দরকার রয়েছে?

করোনা সংকট সুইজারল্যান্ডের প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছিলো। যদি সংক্রামন নিয়ন্ত্রণ করা না যেতো তবে মাটির নিজের এসব হাসপাতালগুলো ব্যাবহারের একটি পরিকল্পনা তাদের ছিলো। শেষ পর্যন্ত তার দরকার হয়নি।

আরও পড়ুন: জার্মান পুনরেকত্রীকরণ দিবস আজ

সুইজারল্যান্ডের হাসপাতালগুলো উল্টো ইতালি এবং ফ্রান্স থেকে সলিডারিটি স্বরুপ অনেক জটিল রোগি এনে এখানে চিকিৎসা দিয়েছে। একটি কথা সুইজারল্যান্ডে  ব্যাপকভাবে বলা হয়, যতটুকু শহর সুইজারল্যান্ডের মাটির উপরে দেখা যায় ততটুকু স্থাপনা সুইজারল্যান্ডের মাটির নিচেও আছে।

news24bd.tv সুরুজ আহমেদ