ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের চেষ্টা, ঢাবি ছাত্রীর আত্মহত্যা

ইচ্ছার বিরুদ্ধে পছন্দের ছেলেকে বাদ দিয়ে জোর করে অন্যের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  

সোমবার রুম্পা খাতুন (২৫) নামে ওই ছাত্রী ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

রুম্পা ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচারা গ্রামের ফরিদ উদ্দিন মন্ডলের মেয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামসুন্নাহার হলে থাকতেন। করোনাকালীন সময়ে ছুটির কারণে গ্রামের বাড়ি ঈশ্বরদীতে অবস্থান করছিলেন তিনি।

রুম্পার পারিবার জানায়, ঢাকার একটি পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের ডিপ্লোমা শেষবর্ষের ছাত্র একই গ্রামের হাফিজুল ইসলামের ছেলে রাজু ইসলামের সঙ্গে রুম্পার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি রুম্পার বিয়ের কথাবার্তা শুরু হলে রুম্পা রাজুকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবেন না বলে তার সিদ্ধান্ত পরিবারকে জানান। কিন্তু রাজুর বাবা হাফিজুলের সঙ্গে তাদের পরিবারের পূর্ব বিরোধের কারণে রুম্পার বাবা ফরিদ মন্ডল তাতে রাজি হননি। এসব নিয়ে পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে রুম্পা কয়েকদিন আগে রাগ করে তার ভাই সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা রিপন মন্ডলের বাসায় গিয়ে ওঠেন। সোমবার সেখানেই তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

আরও পড়ুন: ব্লগার ওয়াশিকুর হত্যার রায়ের দিন পেছাল

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ নাসীর উদ্দীন জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা শুনেছি পারিবারিক কলহের কারণে এমনটি হয়েছে। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক, আমরা পুলিশকেও বিষয়টি অবহিত করেছি।

news24bd.tv আহমেদ