চট্টগ্রামে সহ্যের মাত্রা ছাড়িয়েছে শব্দ দূষণ। এতে মারাত্মক ক্ষতি মুখের পড়েছেন নগরীর প্রায় ৭০ লাখ বাসিন্দা। চিকিৎসকরা বলছেন, অতিমাত্রায় হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার আর বিকট শব্দের কারণে নগরিতে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও।
তাই শব্দ দূষণের বিপদ থেকে বেরিয়ে আসতে আইনের সঠিক প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম হলো দেশের দ্বিতীয় ব্যস্ততম শহর, এতে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের বসবাস।
জীবন এবং জীবিকার তাগিদে বাণিজ্যিক রাজধানীতে যেমন বাড়ছে মানুষ, ঠিক তেমনি বাড়ছে কলকারখানা ও যানবাহন। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে শব্দ দূষণের মাত্রাও।
নগরীর অন্তত ২০ স্থানে শব্দদূষণ সহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে বহু আগে। আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাটসহ এসব এলাকায় শব্দ দূষণের হার ৯০ ডেসিবল পর্যন্ত, সেখানে সাধারণ মাত্রা ৪০ থেকে ৫০ ডেসিবল।
শাস্তি হিসেবে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ডের বিধান থাকলেও চট্টগ্রামে নেই তার সঠিক প্রয়োগ। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই সবখানে চলছে নিয়ন্ত্রণহীন শব্দ দূষণ।
আরও পড়ুন: অবাধে মা ইলিশ শিকার করছেন শরীয়তপুরের জেলেরা
পরিবেশবিদরা বলছেন, নগরির শব্দ দূষণ বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসতে প্রয়োজন আইনের সঠিক প্রয়োগ।
তবে শব্দ দূষণ রোধে কার্যত কি ভূমিকা রাখছে পরিবেশ অধিদপ্তদর, তার সঠিক কোন তথ্য নেই সংস্থার কর্মকর্তাদের কাছে। শব্দ দূষণ রোধে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
news24bd.tv কামরুল