জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন হচ্ছে কী?

অপরাধ কিংবা দুর্নীতির বিষয়ে সরকারের নীতি : জিরো-টলারেন্স। উদাহরণ হিসেবে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বলছেন, ক্যাসিনো কেলেঙ্কারি, পাপিয়া-সাহেদ-সাবরিনা কাণ্ড, এমনকি সবশেষ, ইরফান সেলিমের ঘটনাই তার প্রমাণ। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলছেন, দল ও সরকার প্রধানের নীতি, অপরাধ করলে কাউকে ছাড় নয়।

টিআইবি বলছে, উদ্যোগ প্রসংশনীয় কিন্তু সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ না হলে, শুধু কথার কথাই থেকে যাবে।  

আওয়ামী লীগ সরকারের এই মেয়াদে, দুর্নীতি বিরোধী প্রথম বড় ঘটনা, ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির হোতাদের আইনের আওতায় আনা। অনেককে অবাক করে দিয়ে, তাদের গ্রেফতার করা হয়। ঘোষণা আসে রাজনৈতিক শুদ্ধি অভিযানের। তারপরই পাপিয়া কাণ্ড। শামীমা নূর পাপিয়া, ছিলেন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক। দুর্নীতি আর প্রতারণার দায়ে তিনিও এখন জেলে।

সবশেষ, নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধর ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় ধরা পড়লেন, সাংসদ হাজী সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর ইরফান সেলিম। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলছেন, অপরাধীদের কোনো ছাড় নয়।

সরকার ও দলের এমন অবস্থানকে সাধুবাদ জানিয়েছে, দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠান, টিআইবি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, সব অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হলে, প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা।

আরও পড়ুন: ৪৯ হাজার ইয়াবা রেখে আসামি ছাড়, ওসি কারাগারে

অপরাধ বিশ্লেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান বলছেন, সরকারের এই অবস্থান তখনই সফল হবে, যখন, পেছনের মূল হোতারাও বিচারের মুখোমুখি হবে।

news24bd.tv তৌহিদ