সাংবাদিকতা নেই তো গণতন্ত্র নেই

সাংবাদিকতা নেই তো গণতন্ত্র নেই শওগাত আলী সাগর ’No Journalism, No democracy’- সাংবাদিকতা না থাকলে গণতন্ত্র থাকে না কথাটা কি এমন কিছু! বক্তৃতার পরের অংশ থেকে কি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়- মিডিয়ার উপর আক্রমন গণতন্ত্রকে বিপদগ্রস্ত করে, মানুষের জীবনকে বিপদগ্রস্ত করে।

’গণতন্ত্র’, ’মানুষের জীবন’ আর ’মিডিয়া’র মধ্যে পারষ্পরিক সম্পর্কের বিষয়টি আলাদাভাবে কখনো ভাবার সুযোগ হয়নি। কানাডীয়ান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বক্তৃতার লাইনগুলো সকাল থেকেই মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো-’No Journalism, No democracy’. যেই জাস্টিন ট্রুডো এই কথাগুলো বলছেন, মিডিয়া একবার নয় তিন চার বার তার নিজের,পরিবারের সদস্যদের, সরকারের নিয়মভঙ্গের রিপোর্ট ছেপেছে, সেই রিপোর্টের শিরোনামে কেলেংকারি শব্দটি ব্যবহার করেছে।

আরও পড়ুন: সাকিব একজন গর্বিত মুসলমান!

মিডিয়ার রিপোর্টের কারণে তাকে বার বার ইথিকস কমিশনের সামনে গিয়ে জবানবন্দি দিতে হয়েছে, কেন তিনি কাজটি সঠিক করেছেন তার কৈফিয়ত দিতে হয়েছে। জাস্টিন ট্রুডো বা তার সরকারের কেউ ওই মিডিয়া বা সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা, কোনো কথাই বলেননি।

আরও পড়ুন: বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা হেলাফেলার বিষয় নয়

সেই ট্রুডো বলছেন, মিডিয়ার উপর আক্রমণ গণতন্ত্রকে বিপদে ফেলে দেয়, মানুষের জীবনকে বিপদে ফেলে দেয়। কোনো জার্নালিজম না থাকা মানে গণতন্ত্র না থাকা- এমন একটি প্রশ্নও কি পাশাপাশি করা যায়! যায় হয়তো। হয়তো কেন বলি- যায়ই তো। তবু মিডিয়াকে অবাধে কাজ করতে না দিলে, মিডিয়া অবাধে কাজ করতে না পারলে, মিডিয়া অবাধে কাজ করার যোগ্য হয়ে না উঠতে পারলে- গণতন্ত্র, মানুষের জীবন অবশ্যই ঝুঁকির মুখে পড়ে।  

শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ, কানাডা।

news24bd.tv নাজিম