কৃষক আন্দোলনে কানাডার সমর্থন, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ভারতের

ভারতে চলমান কৃষক আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মঙ্গলবার শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরুদুয়ারা নানকশাহীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক অনলাইন আলোচনায় অংশ নিয়ে ট্রুডো এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ‘ভারতের কৃষকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকার রক্ষায় সব সময় পাশে থাকবে কানাডা। আর তার এ প্রতিক্রিয়ায় ব্যাপক ক্ষোভ জানিয়েছে ভারত। ’ 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মূখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘ভারতের কৃষকদের নিয়ে কানাডার নেতার দুর্বল বোঝাপড়ার মন্তব্য আমরা দেখেছি। এ ধরনের মন্তব্য অযাচিত, বিশেষ করে তা যখন একটি গণতান্ত্রিক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কে হয়ে থাকে। ’ তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক আলোচনা রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার না হলেই ভালো হয়। ’

কট্টর হিন্দুত্বাবাদী সংগঠন শিব সেনার উপনেতা প্রিয়াংকা চতুর্বেদীও জাস্টিন ট্রুডোর মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। কৃষক বিক্ষোভকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে মন্তব্য করে তিনি অন্য দেশের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে ট্রুডোর প্রতি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন: 

প্রেমের বিয়ের ৭ মাস পর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

শ্রীলেখার নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে বন্ধুত্বের ডাক!

ভারতের কৃষক আন্দোলনের পেছনে দেশের বিরোধী দলগুলোর সম্পৃক্তাকে দায়ী করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নতুন কৃষি আইন নিয়ে ভারত সরকার বলছে, কৃষিতে বড় বিনিয়োগে উৎসাহিত করতেই নতুন এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।  

তবে কৃষকদের দাবি, নতুন এ আইনের ফলে তারা ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবে।

এদিকে, কৃষক আন্দোলন নিয়ে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজনীতিবিদ ভারতের কৃষকদের প্রতি একাত্নতা পোষণ করেছেন। তবে কোনো দেশের সরকার প্রধান হিসেবে জাস্টিন ট্রুডোই প্রথম এ বিষয়ে মন্তব্য করলেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডায় অবস্থানরত ভারতীয় অভিবাসীদের মধ্যে শিখ ধর্মের মানুষই সবচেয়ে বেশি। শিখ অধ্যূষিত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ কানাডায় স্থায়ী হয়েছেন।  

এমনকি, ভারতীয় বংশোদ্ভূত হারজিত সিং সাজ্জান কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন। পাঞ্জাবে ১৯৮০ সালে সংঘটিত সহিংসতার নেপথ্যে তাকে দায়ী করেছে ভারত। তবে বরাবরই এসব অস্বীকার করে আসছে হারজিত সিং সাজ্জান।  

news24bd.tv কামরুল