উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে আরো উন্নত জাতের ধান উদ্ভাবন করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে আরও উন্নতজাতের ধান উদ্ভাবনের জন্য ধানবিজ্ঞানী ও গবেষকদের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।  

কৃষিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) মিলনায়তনে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এক সময় খাদ্য ঘাটতির ও ক্ষুধার দেশ হিসাবে পরিচিত ছিল। স্বাধীনতার পর জনসংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি যা এখন বেড়ে হয়েছে ১৬ কোটির উপরে। এর সাথে প্রাকৃতিক  দুর্যোগতো আছেই। তারপরও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এই সাফল্যের পিছনে ব্রির উদ্ভাবিত জাত ও বিজ্ঞানীদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ  অবদান রয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তায় মূল চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের জনসংখ্যা প্রতিবছর ২২-২৩ লাখ বৃদ্ধি পাচ্ছে; অথচ নানান কারণে চাষের জমি কমছে। সেজন্য, ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে হলে আরও উন্নত জাত ও প্রযুক্তির উদ্ভাবন করতে হবে।

ব্রি উদ্ভাবিত শতাধিক জাতের ধানের প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, এই জাতগুলো থেকে সেরাগুলো নিয়ে সকল সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে যাতে করে কৃষকের নিকট এগুলো জনপ্রিয় হয়, কৃষকের নিকট সহজে পৌছানো হয়। তিনি আরও বলেন,  একটি পুষ্টিউপাদান সমৃদ্ধ জাত না করে, বহু পুষ্টিউপাদান সমৃদ্ধ জাতের ধান উদ্ভাবন করতে হবে। এছাড়া, মোটা চালের চাহিদা দিন দিন কমছে, সেজন্য চিকন চাল এবং কৃষক ও ভোক্তার চাহিদা বিবেচনা করে জাত উদ্ভাবনে এগিয়ে আসতে হবে।

এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহ্‌সান রাসেল এবং কৃষিসচিব  মো: মেসবাহুল ইসলাম।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো:  শাহজাহান কবীর এছাড়া, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: জাহাঙ্গীর আলম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো: সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মন্ডল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ, সাবেক মহাপরিচালক মো: হামিদুর রহমান, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নাজিরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হোমনাথ ভান্ডারি, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার(এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

news24bd.tv /আলী