পায়ুপথে দিয়ে কোটি টাকার সোনা বের হলো যেভাবে

ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একজন যাত্রীকে দেখে সন্দেহ হয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের। চ্যালেঞ্জ করে তল্লাশী করতে চাইলে ওই যাত্রী নিজের কাছে কিছু নেই বলে দাবি করেন। কিন্তু পরে তাকে স্ক্যান করে পায়ুপথ থেকে ৮টি সোনার বার পান ঢাকা কাস্টমস হাউজের প্রিভেন্টিভ টিম। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে সোনার বারগুলো উদ্ধার করা হয়।

কাস্টমস জানায়, প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ওই যাত্রীকে মেটাল ডিটেক্টরে পরীক্ষা করা হয়। ধাতব থাকার প্রমাণ মেলায় তাকে এক্সরে করা হয়। তখনই তার পেটে ৮টি সোনার বার থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় কাস্টমস। কাস্টমস জানায়, ওই যাত্রীর নাম গোলাম মোহাম্মদ। তিনি গতকাল রাত ১১টায় দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারওয়েজের ইকে-৫৮৪ ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

ইমিগ্রেশন শেষ করে লাগেজ নেওয়ার পর গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করে কাস্টমস। তার কাছ থেকে জব্দকৃত সোনা ও পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। তার বিরুদ্ধে ১৯৬৯ সালের দ্য কাস্টমস অ্যাক্টে বিমানবন্দর থানায় মামলা করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‌‘গরীবের ডাক্তার’ খ্যাত লিটুর আগাগোড়া ছিল সততা

ঢাকা কাস্টমস হাউজের প্রিভেন্টিভ টিমের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নাঈম ইসলাম জানান, ওই যাত্রী প্লেনের ১৮ নম্বর সিটে ছিলেন। তার বিষয়ে কাস্টমসে আগে থেকেই তথ্য ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে যাত্রী ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পর তাকে আটকে ফেলে কাস্টমসের সদস্যরা। প্রথমেই তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তার কাছে কোনো সোনা বা সোনারবার আছে কিনা? তবে তিনি অস্বীকার করে বলেন, ‘কিছুই নেই। ’

নাঈম বলেন, পরে যাত্রীকে আর্চওয়ে গেটে নেওয়া হলে ধাতব জাতীয় পদার্থ থাকার অ্যালার্ম বেজে ওঠে। পরবর্তীতে যাত্রীকে বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তল্লাশি করে সবশেষ তার পেটের এক্স-রে করা হয়। এক্স-রে রিপোর্টে আসামির রেক্টামে সোনার বার থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপর ওই যাত্রী স্বেচ্ছায় টয়লেটে গিয়ে তার রেক্টাম থেকে ৮টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তার ব্যাগ থেকে আরও ২টি বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সোনার মোট ওজন ১ কেজি ১৬০ গ্রাম। পাশাপাশি তার কাছ থেকে আরও ৬টি সোনার চুড়ি, ১ জোড়া সোনার কানের দুল (২ গ্রাম), ৫টি নতুন মোবাইল হ্যান্ডসেট উদ্ধার করা হয়।

news24bd.tv তৌহিদ