আমেরিকার রাজনীতিতে ‘বিশ্বাস’ (ফেইথ) নিয়ে গবেষণা করেছেন কানাডার ওয়াটর লু ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক লরনি ডওসন। ধর্মের সমাজতত্ত্ব (Sociology of Religion) নিয়ে গবেষনার ক্ষেত্রে শীর্ষ পন্ডিত হিসেবে স্বীকৃতি তার।
আমেরিকানদের সম্পর্কে তার গবেষণার উপসংহারটি খুবই চমকপ্রদ।
ডওসন বলছেন, আমেরিকান সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে মিথোলোজির উপর। সেই মিথোলোজি তাদের শিখিয়েছে- তারা হচ্ছেন ইশ্বরের ’বিশেষ বিশেষ একটি জাতি’, তারা সরাসরি ইশ্বরের প্রতিনিধি। আদি আমেরিকানরা আমেরিকাকে মনে করতো ‘প্রমিসড ল্যান্ড’। সেই বিশ্বাসটাই সিংহভাগ আমেরিকানদের মনে এখনো আছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মিথোলোজির এই বিশ্বাসটাকেই টোকা দিয়ে জাগিয়ে দিয়েছিলেন। আমেরিকানরা ’বিশেষ বিশেষ একটি জাতি’, তারা ’ঈশ্বরের কেউ’ – সেই ভাবনাটা জাগিয়ে দিয়ে নতুন ধরনের এক পপুলিজমের জন্ম দিয়েছেন তিনি। এই ভাবনায় বিশ্বাসীরা কেউই আমেরিকা ছেড়ে চলে যায়নি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জো বাইডেনদের পার্থক্যটা কোথায়? ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা মানুষগুলোকে ‘ঈশ্বরের কেউ’ হিসেবে ভাবতে উসকে দিয়েছেন। আর জো বাইডেনরা নিজেদেরই ‘ইশ্বরের কেউ’ হিসেবে ভাবেন। তারা ভাবেন ‘প্রমিসড ল্যান্ডের’ তারাই অধিকর্তা।
জো বাইডেনদের মতো যারা নিজেদের ’ইশ্বরের কেউ’ ভাবেন- তাদের পেছনে দেশের শিক্ষিত- এলিট শ্রেণিটি আলগোছে দাঁড়িয়ে যায়। কেননা, সমাজে তারাও নিজেদের এক একটা ‘ঈশ্বরের কেউ’ ভাবতে পছন্দ করেন।
শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ, কানাডা
news24bd.tv তৌহিদ