সু চির লেখা চিঠিতে সেনা অভ্যুত্থানের আভাস

গতকাল ১লা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। আটক করা হয়েছে অং সান সু চিসহ প্রেসিডেন্ট এবং দলের শীর্ষ নেতাদের। সৈন্যরা রাস্তায় টহল দিচ্ছে এবং রাতের সময় কারফিউ কার্যকর হচ্ছে। এক বছরের জন্য জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। অং সান সু চি তার সমর্থকদের "অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার" প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বিবিসি।  

তার আসন্ন আটকের প্রস্তুতি নিয়ে লেখা একটি চিঠিতে তিনি বলেছিলেন যে সামরিক বাহিনীর এই পদক্ষেপ দেশকে একনায়কতন্ত্রের অধীনে ফিরিয়ে আনবে।

সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রীরবদলে নতুন করে মন্ত্রী ঘোষণা করেছে।

প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় লোকেরা বলেছিল যে তারা অনুভব করেছিল যে গণতন্ত্রের জন্য তাদের লড়াই-সংগ্রাম হারিয়েছে।

ইয়াঙ্গুন শহরের রাস্তায় মানুষজন বলছিলেন, তাদের এত লড়াই -সংগ্রামের গণতন্ত্র হারিয়ে গেছে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৫ বছর বয়সী এ তরুণ বিবিসিকে বলেন "আপনার পৃথিবী এক রাতের মধ্যে যদি পুরোপুরি উল্টে যায় এটা কোন নতুন অভিজ্ঞতা আনবে না।

তবে এমন একটি অনুভূতি যা আমি ভেবেছিলাম যে আমরা এগিয়ে চলেছি এবং এমন একটি অনুভূতি যা আমি কখনও ভাবিনি যে আমরা আবারো অনুভব করতে বাধ্য হব। "

মিয়ানমার রাষ্ট্রটি বার্মা নামেও পরিচিত। মিয়ানমার ১৯৬২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সোনাবাহিনী শাসিত দেশ ছিল। এরপর অং সান সু চি সেনা শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনে।  

মেধা যাচাই হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়

রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ থাকবে আজ

রাজধানীর যেসব এলাকায় গ্যাস থাকবে না আজ

অন্যের ক্ষতির জন্য খুঁড়ে রাখা গর্তে নিজেকেই পরতে হয়

১৯৮৯ থেকে ২০১০ সালের পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দী ছিলেন। আন্তর্জাতিকভাবে তিনি গণতন্ত্রের আলোয় ভূমিকায় শ নিবন্ধিত তৃতীয় লিঙ্গের অবতীর্ণ হন। ১৯৯১ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেয়েছিলেন।

তবে বেশিরভাগ মুসলিম রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের উপর সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ঘটনায় তিনি নিরব থাকেন এবং অস্বীকার করেন রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচারের। এতে তার আন্তর্জাতিক খ্যাতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।  

সাবেক সমর্থকরা তার বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীকে নিন্দা জানাতে বা নৃশংসতার অভিযোগ অস্বীকার করার অভিযোগ এনেছিলেন।

বিশ্বব্যাপী তিনি সমালোচনার মুখোমুখি হন রোহিঙ্গা ইস্যুতে। সেনাবাহিনী নির্যাতন চালিয়ে প্রায় ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠুকতে বাধ্য করে।  

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের এসব বাসিন্দাকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠায় সেনাবাহিনী। অথচ এসব ব্যাপারে সু চি মিথ্যাচার করে গেছেন।

এখন সমালোচকরা বলছেন, সু চি ক্ষমতায় থাকার জন্য রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের বিষয়ে চুপ ছিলেন। এমনকি সেনাবাহিনীর হাতের পুতুল হয়ে ছিলেন।  

সূত্র: বিবিসি থেকে অনুবাদকৃত

news24bd.tv আয়শা