‘বাংলা-ইংরেজীর মিশ্রণে কথা বলা মোটেই আধুনিকতা নয়’

উটকো শব্দ ব্যবহার করে নিজের পান্ডিত্য দেখানোর দরকার নেই বলে মনে করেন বাংলা একাডেমীর সভাপতি শামসুজ্জামান খান। তার মতে, বাংলা ইংরেজীর মিশ্রণে কথা বলা মোটেই আধুনিকতার পরিচয় নয়। তবে যে শব্দগুলো বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে সেগুলো ব্যবহার করা যেতেই পারে।

বঙ্গভূমিতে তুর্কি আগমন ও মুসলিম শাসনের ফলে বাংলা ভাষায় প্রচুর ফারসি, পর্তুগীজ ও আরবি শব্দ প্রবেশ করেছে। এরপর আসে ইংরেজ শাসনামল। ফলে ইংরেজী সাহিত্য - সংষ্কৃতির বহু শব্দ বাংলায় প্রবেশ করে। বাংলায় রয়েছে হিন্দী ও সংষ্কৃত অনেক শব্দও।

এসব শব্দকে আত্তীকরণের মধ্য দিয়ে কালে কালে বেড়েছে বাংলার শব্দসম্ভার। যার ব্যবহারকে মোটেই দূষণীয় বলে মনে করছেন না বাংলা একাডেমীর সভাপতি শামসুজ্জামান খান। তবে যে শব্দ বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেনি সেগুলোকে মিশিয়ে কথা বলাকে সঠিক বলে মনে করেন না তিনি।

আরও পড়ুন:

করোনার মন্দা কাটিয়ে গতি ফিরছে আবাসন খাতে

ভোট ছাড়া নির্বাচিত হলেই সরকার ফ্যাসিস্ট হয় না: মনজুরুল আহসান

ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফিরতে বাইডেনকে ৪১ কূটনীতিকের চিঠি

এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে তুরস্ককে আবারও হুমকি আমেরিকার

শামসুজ্জামান খান বলেন, বাংলা-ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করে কথা বলা মোটেও আধুনিকতা না। যারা এটা করে তারা দেখানোর চেষ্টা করে তারা ইংরেজী জানেন। অন্য শব্দ জোর করে ব্যবহারের মাধ্যমে পান্ডিত্ব দেখানো কিছু নেই।  

বাংলা অনেক শব্দও ইংরেজী ভাষায় প্রবেশ করেছে। উপমহাদেশের সংষ্কৃতি ও অনেক ঘটনাকে নির্ভুলভাবে উপস্থাপন করতে এখানকার শব্দগুলোকেই বেছে নেন ইংরেজরা।

শামসুজ্জামান খান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সেই বাণীকে স্মরণ করে বলেন, পশ্চিম আজি খুলিয়াছে দ্বার, সেথা হতে সব আনে উপহার, দিবে আর নিবে, মিলিবে মিলাবে। তাই বলে নিজস্বতাকে বিকৃত করে নয়। জোর অন্য শব্দকে বাংলার মাঝে প্রবেশ করিয়ে নয়।

news24bd.tv আহমেদ