যে কারণে মিয়ানমারের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

মিয়ানমার পার্লামেন্টে নতুন সরকারের প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে ক্ষমতা দখলে নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। আর এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই তোলপাড় গোটা বিশ্ব রাজনীতি।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এদিন অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আটক করা হয়। দেশজুড়ে ঘোষণা করা হয় এক বছরের জরুরি অবস্থা।

শুরু থেকেই এই ঘটনার বিরুদ্ধে ছিলো যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে জো বাইডেন বলেছেন, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই দখলে নেওয়া ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে এবং সে দেশের জনগণের গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনের রায়কে সম্মান জানাতে হবে।  

এদিকে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই রাজধানীতে জড়ো হতে শুরু করে সরকারি কর্মচারীদের বিশাল একটি গ্রুপ। মঙ্গলবার রাবার বুলেট ছোড়ার আগে বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করতে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, আহত ব্যক্তিদের দেখে মনে হচ্ছে তাদের ওপর সরাসরি গোলা-বারুদ নিক্ষেপ করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার মিয়ানমারে বিক্ষোভে এক নারী গুলিবিদ্ধ হন। ওই নারীর নাম মিয়া থুই থুই খ্যাইং। বর্তমানে তিনি গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালের ইনসেন্টিভ কেয়ার ইউনিটে আছেন।

মহামারি পৌঁছায়নি মক্কা ও মদীনার দুই পবিত্র মসজিদে

টাই পরতে আপত্তি জানানোয় পার্লামেন্ট থেকে আদিবাসী নেতা বহিষ্কার

ট্রাম্পের শয্যাসঙ্গী হওয়া ছিল সবচেয়ে বিরক্তিকর, দাবি পর্নতারকার

ভিয়েতনামের হাতে ধরা অপরূপ সোনালি সেতু

এ ঘটনা মিয়ানমারের সেনাদের প্রতি বাইডেন সকারের সম্পর্কে ঘি ঢালে।

এর জেরেই নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্বাহী আদেশ অনুমোদন হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জন্য বিশাল অঙ্কের অনুদান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, মিয়ানমার সরকারের উপকারে আসার মতো মার্কিন 'সম্পদ' জব্দ রাখবে জো বাইডেন প্রশাসন।

news24bd.tv / নকিব