সাতচল্লিশ বায়ান্ন একাত্তরের সাক্ষী তিনি

শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর স্ত্রী লিলি চৌধুরী আর নেই। তিনি আজ সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বনানীর বাসভবনে শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন। তিনি আমার খুব পছন্দের মানুষদের একজন Asif Munier ভাইয়ের মা। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বেতার, মঞ্চ ও টেলিভিশনে কাজ করেছেন লিলি চৌধুরী।

সাতচল্লিশ, বায়ান্ন, একাত্তরের মতো ঐতিহাসিক সময়ের সাক্ষী তিনি। বেশ কয়েকবার বাসায় যাওয়ার সুবাদে আমি লিলি চৌধুরীর জীবন সংগ্রামের গল্প শুনেছি আসিফ ভাইয়ের মুখে।

লিলি চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে মুনীর চৌধুরীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। ওই সময়ে তারা দুজন পরস্পর পরস্পরকে ডাইরি লিখতেন। ২০১৫ সালে ডায়েরিগুলো প্রথমা প্রকাশন থেকে দিনপঞ্জি মনপঞ্জি ডাকঘর নামে প্রকাশিত হয়েছে। কেউ চাইলে পড়তে পারেন। ঐতিহাসিক এক সময়ের অসাধারণ বর্ণনা। ‌

রাঙামাটিতে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক

৭৫০ মে.টন কয়লা নিয়ে জাহাজ ডুবি, শুরু হয়নি উদ্ধার কাজ

মোবাইলে পরিচয়, দেখা করতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী

নোয়াখালীতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা: স্বামী আটক

পাকিস্তান সরকার প্রায়ই মুনীর চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করত। ১৯৪৯-এর ৩০ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন তাঁরা। এর কিছুদিন পর ১৯৫২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আবার গ্রেপ্তার হন মুনীর চৌধুরী। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। মুনীর চৌধুরী মুক্তি পান ১৯৫৪ সালে। এই কারাবাসে থাকাকালীন তিনি কবর নাটকটি রচনা করেন।

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী মুনীর চৌধুরীকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। একাত্তরের পরে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে লিলি চৌধুরীকে। সন্তানদের বড় করতে বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করেছেন।

মুনীর চৌধুরী ও লিলি চৌধুরী দম্পত্তির তিন ছেলে। ‌এর মধ্যে আশফাক মুনীর যিনি মিশুক মুনীর নামে পরিচিত ছিলেন দারুন প্রতিভাবান এই মানুষটি সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদের সাথে মারা গেছেন। ‌ বাকি দুই ছেলে আহমেদ মুনীর ও আসিফ মুনীর।  এরমধ্যে আসিফ মনির ভাইয়ের সাথে আমার প্রায় দেড় যুগের ঘনিষ্ঠতা। অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার মুনীর চৌধুরীর বোন এবং লেখক কবীর চৌধুরী তাঁর ভাই। এই বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, এই দেশের সাহিত্য সংস্কৃতি সবকিছুতে এই পরিবারটির অসামান্য অবদান রয়েছে। আল্লাহতালা লিলি চৌধুরীকে জান্নাতবাসী করুন। আল আসিফ ভাই সহ সবাইকে শোক সইবার শক্তি দিক।

news24bd.tv তৌহিদ