‘পা চাঁটা চামচারা বুদ্ধিজীবী নয়’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, পা চাঁটা চামচারা কখনো বুদ্ধিজীবী হতে পারে না, আপনারা কথা বলতে না পারলে চুপ করে থাকুন।

তিনি বলেছেন, বর্তমানে ছাত্রলীগের যেকোনো নেতার অপকর্ম ধরা পড়লেই তখন বলা হয় এই নেতাকে তো দুই/তিন মাস আগেই বহিষ্কার করা হয়েছিল । তাদের এ অপকর্ম ঢাকতেই এসব কথা বলে থাকে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে মাহমুদুর রহমান মান্নার দ্বিতীয় উপন্যাস ‌‌‘আটকে পড়া শব্দরাজি’-এর উপরে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। অনন্যা এই মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে জানিয়ে মান্না বলেন, কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রদের নামে কেন মামলা দেওয়া হলো? অবিলম্বে এই মামলা তুলে নিতে হবে। প্রতিবাদ করতে না পারলে কোনো সমাজই বদলাবে না। তাই প্রতিবাদ করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, এখন যারা লেখালেখি করেন তারা মূলত কারো মন জয় করার জন্য লেখেন। কিন্তু মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের জীবনে যা দেখেছেন তাই তার বইতে লিখেছেন। কারো মনোরঞ্জন করার জন্য এই উপন্যাস তিনি লেখেননি। তাঁর উপন্যাসে স্বজনপ্রীতি দুর্নীতি গুম সবই পাওয়া গেছে। এই উপন্যাসে বাংলাদেশকে অনেকাংশেই তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমি যখন কিছু লিখতে যাই তখন আমার মাথায় রাখতে হয় ধর্মীয় চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এতো কিছু মাথায় রেখে ভালোভাবে লেখা যায় না।

কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, দালাল ভণ্ড প্রতারকরা বর্তমানে সাহিত্যের সিংহাসনে বসে আছে। আমাদের সাহিত্যিকরা রাজনীতির পা চাঁট‌ছে।

প্রকাশনার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকাশনা উৎসবে শুধু প্রশংসা করা উচিত, সরকারের অনেক বাধা নিষেধ সত্ত্বেও প্রকাশক এই বইটি প্রকাশ করেছেন আর মাহমুদুর রহমান আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। তিনি আটকে পড়া শব্দগুলোকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সা‌বেক রাষ্টপ‌তি ডা. একিউএম বদরু‌দ্দোজা চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক একেএম শাহনেওয়াজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গওহর নঈম ওয়ারা প্রমুখ ।

নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)